ছবি সংগৃহীত
অধিনায়ক বিরাট কোহালি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীর রসায়ন ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। সব চেয়ে বড় সাফল্য সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে টেস্ট সিরিজ জেতা। কিন্তু এই রসায়ন কেন এত সফল? ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আশিস নেহরা মনে করেন, দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ। এবং, এই বোঝাপড়াটাই ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নেহরা বলেছেন, ‘‘বিরাটকে নিজস্ব জায়গাটা ছেড়ে দেয় কোচ শাস্ত্রী। আর বিরাট জানে শাস্ত্রী কেমন মানুষ, ওর থেকে কী শিক্ষাটা আয়ত্ত করা যায়।’’
কোহালি-শাস্ত্রী জুটি শুধু দেশকে সিরিজ জেতানোই নয়, ভারতীয় পেস বোলিং আক্রমণকে এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে, যেখানে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব এখন মহম্মদ শামি-যশপ্রীত বুমরাদের সমীহ করে। ভারতের প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার নেহরা মনে করেন, ক্রিকেটারদের উদ্দীপিত করার কাজটা শাস্ত্রীর মতো খুব কম লোকই করতে পারেন। নেহরার কথায়, ‘‘রবি ভাইয়ের শক্তিই হল অন্যকে ঠিক মতো উদ্দীপিত করা। তার থেকে সেরাটা বার করে আনা।’’
একটা উদাহরণ দিয়ে নেহরা আরও বলেছেন, ‘‘রবি ভাই অন্যের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা জাগিয়ে তুলতে পারে। কেউ যদি চোরাবালিতে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকে, তা হলে রবি ভাই তাকে বলবে, দু’হাতে ভর করে উঠে এসো। একবারে না পারো, দু’বারে পারবে। আর সে কিন্তু ঠিক ওই সমস্যা কাটিয়ে বেরিয়ে আসবে।’’ আর কোহালি প্রসঙ্গে নেহরার উপলব্ধি, ‘‘বিরাট সব সময় চায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। দু’জনের ব্যক্তিত্ব অনেকটা একই রকম। তাই ওদের রসায়নটাও দারুণ।’’
একটা সময় আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন নেহরা। কাছ থেকে দেখেছেন অধিনায়ক কোহালিকে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, ভারতীয় কোচ-অধিনায়ক হয়তো সব বিষয়ে একমত হন না, কিন্তু তাঁরা দু’জনে দু’জনের কথা শোনেন। আর তার পরে একটা সিদ্ধান্ত নেন।
নেহরা বলেছেন, ‘‘ব্যাপারটা এ রকম নয় যে সব ক্ষেত্রে দু’জনে একমত হচ্ছে। কিছু কিছু ব্যাপারে একে অন্যকে ছাড় দেওয়া যেতেই পারে। এমন নয় যে, অধিনায়কই শেষ কথা বা কোচই শেষ কথা। আমার কাছে জুটিটা ৫০-৫০ হতে হবে।’’