তিন উইকেট পেলেন অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স।—ছবি এএফপি।
অ্যাসেজে দ্বিতীয় টেস্টে দলে এসেই অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার জশ হ্যাডলউড ধাক্কা দিলেন ইংল্যান্ডকে। তাঁর দাপটে শুরুতেই ইংল্যান্ড ২৬-২ হয়ে গিয়েছিল। জেসন রয় (০) এবং অধিনায়ক জো রুট (১৪)কে ফিরিয়ে দেন তিনি। সেখান থেকে রোরি বার্নসের ৫৩ রানের সাহায্যে বিপদ এড়ায় ইংল্যান্ড। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৭৬-২। হ্যাজলউড পরে জো ডেনলিকেও (৩০) ফিরিয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের দলে একটাই পরিবর্তন হয়েছে। জেমস প্যাটনসনের বদলে দলে এসেছেন হ্যাজলউড।
প্রথম টেস্টে ২৫১ রানে জয়ের পরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছিল। হ্যাজলউডের তিন উইকেট ছাড়া আর এক অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্সও তিন উইকেট নিয়েছেন। এই জোড়া পেস ধাক্কায় দ্বিতীয় দিন শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৫৮ রানে। এ ছাড়া, তিন উইকেট নিয়েছেন নেথান লায়ন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩০-১। তিন রান করে ফিরে গিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁকে ফেরান স্টুয়ার্ট ব্রড।
ওপেনিংয়ে রোরি বার্নস ছাড়া মিডল ওর্ডারে জনি বেয়ারস্টোর মরিয়া লড়াই ইংল্যান্ডকে আড়াইশো পার করিয়ে দেয়। বেয়ারস্টো শেষে ফিরে যান ৫২ রানে। পাশাপাশি ক্রিস ওকস ৩২ রান করে যোগ্য সঙ্গত দেন। প্রথম দিন নষ্ট হওয়ায় ৯৮ ওভার করে ম্যাচ হবে প্রতি দিন। ইংল্যান্ডে শেষ বার অস্ট্রেলিয়া অ্যাসেজ জিতেছে ১৮ বছর আগে। এর আগে দু’বার লর্ডসে গোটা দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছে (২০০১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ও ২০১৮ সালে ভারতের বিরুদ্ধে)।
এ দিন আবার বল করতে আসেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্টিভ স্মিথও। প্রথম অ্যাশেজ টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করার পরে তিনি বল করতে যখন নামেন একই রকম ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ তাঁকে উদ্দেশ্য করে আছড়ে পড়ছিল।