Spost News

শেষ উইকেটে যোগ হল ৭৬! স্টোকসের ‘অতিমানবীয়’ ইনিংসে অবিশ্বাস্য জয় ইংল্যান্ডের

প্যাটিনসনের বলে ইংল্যান্ডের ১০ নম্বর স্টুয়ার্ট ব্রড যখন আউট হচ্ছেন, ইংল্যান্ড তখন ২৮৬।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লিডস শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ২১:২৬
Share:

ঐতিহাসিক! অতিমানবীয়! ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ম্যাচ! কোনও বিশেষণই হয়তো সঠিক নয় রবিবাসরীয় লিডলে অ্যাসেজ ম্যাচের জন্য। যেখানে ক্রিকেট দেখল বাঁ-হাতি এক অতিমানবকে। যে অতিমানব অপরাজিত ১৩৫ রান করে ১ উইকেটে ম্যাচ জেতাল ইংল্যান্ডকে। যে ম্যাচের শেষ উইকেটে যোগ হল ৭৬ রান। যার মধ্যে একাই ৭৪ রান করলেন বেন স্টোকস। কামিন্স, হ্যাজেলউড, লিয়ঁ, প্যাটিনসনদের বলে ১১টি বাউন্ডারি এবং ৮টি ওভার বাউন্ডারি মারলেন স্টোকস। তাঁর হাত ধরে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙল ইংল্যান্ড।

Advertisement

অথচ প্যাটিনসনের বলে ইংল্যান্ডের ১০ নম্বর স্টুয়ার্ট ব্রড যখন আউট হচ্ছেন, ইংল্যান্ড তখন ২৮৬। ৩৫৯-এর লক্ষ্যমাত্রা থেকে তখনও ৭৩ রান দূরে। সকলেই যখন ধরে নিয়েছেন, লিডসেই ২-০ করছে অস্ট্রেলিয়া, তখন যেন একটু অন্য রকম ভেবেছিলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। ১১ নম্বরে নামা জ্যাক লিচের জন্য কামিন্স-হ্যাজেলউডদের শেষ দু’টো বা একটি বল ছাড়া প্রত্যেকেরই মুখোমুখি হচ্ছিলেন স্টোকস। অনায়াসে বল পাঠাচ্ছিলেন বাউন্ডারির বাইরে। শেষ ১০.২ ওভারে যোগ হল ৭৬ রান। কখনও লং অন দিয়ে হ্যাজেলউডকে ছয় বা স্লগ রিভার্স সুইপে লিয়ঁকে ছয়— কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি স্টোকস।

তবে ক্রিকেটদেবতাও যেন এ দিন বেন স্টোকসের সঙ্গে ছিলেন। লক্ষ্য থেকে ইংল্যান্ড যখন ১৭ রান দূরে, তখন কামিন্সের বলে স্টোকসের ক্যাচ ফেলেন মার্কাস হ্যারিস। এর পর ৩৫৭ রানের মাথায় সহজ রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন লিয়ঁ। ঠিক তার পরের বলেই স্টোকসের অবধারিত এলবিডব্লিউ নাকচ করেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। রিভিউ শেষ হয়ে যাওয়ায় হাত কামড়ানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না টিম পেনদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইতিহাস! ব্যাডমিন্টনে দেশের প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, সিন্ধুপ্লাবনে হারিয়ে গেলেন ওকুহারা

আরও পড়ুন: যেন ওয়ান ম্যান আর্মি! বিশ্বকাপের মঞ্চে একার হাতে ম্যাচ জিতিয়ে ছিলেন এই নায়করা

ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্টোকসের ব্যাটের দাপটেই এল ইংল্যান্ডের জয়। ছবি: এএফপি।

ম্যাচের শেষে দেখা গেল, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিটেটাররা সকলেই এলে হাত মেলাচ্ছেন স্টোকসের সঙ্গে। ম্যাচের শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্টোকস বলেন, ‘‘ফলাফল কী হবে, না ভেবে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকার চেষ্টা করেছি। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমি কী করেছি!’’

সত্যিই! বেন স্টোকস বোধহয় নিজেও জানেন না তিনি ঠিক কী করেছেন। যত দিন ক্রিকেট থাকবে, অমর হয়ে থাকবে এই ইনিংস। অমর হয়ে থাকবে এই ম্যাচের স্মৃতি। এবং অবশ্যই অমর হয়ে থাকবেন বেঞ্জামিন অ্যান্ড্রিউ স্টোকস!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement