অরুণ লাল ও অশোক ডিন্ডা। ফাইল চিত্র
অশোক ডিন্ডাকে ছাড়াই অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামল বাংলা। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ম্যাচের আগের দিনই তাঁকে বাদ দিয়ে ১৫ জনের তালিকা গঠন করেছেন বাংলার নির্বাচকেরা। কিন্তু ডিন্ডা না থাকায় বাংলার যে খুব অসুবিধা হবে, তা মানতে নারাজ কোচ অরুণ লাল।
বুধবার প্রথম দিনের শেষে অরুণ বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিন্তু ক্রিকেট তো থেমে থাকবে না। এটাই সুযোগ নতুন প্রতিভার জ্বলে ওঠার। এটাই সুযোগ নতুন ডিন্ডাকে খুঁজে বার করার।’’ যোগ করেন, ‘‘ওর পরিবর্তে কোনও তরুণ ক্রিকেটার এসে পাঁচ উইকেট নিলে দলের ভারসাম্যই পাল্টে যাবে। রিজার্ভ বেঞ্চকেও তো তৈরি রাখতে হবে। দলের মূল ক্রিকেটার না খেললে তার পরিবর্তের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার এটাই সুযোগ।’’
অরুণের কথাতেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, ডিন্ডার আচরণে খুশি নয় বাংলা শিবির। সিএবি সূত্রের খবর, দলের সদস্য ও নির্বাচকের সিদ্ধান্তে প্রথম ম্যাচ থেকে বসানো হয়েছে ডিন্ডাকে। অভিজ্ঞ পেসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বোলিং কোচ রণদেব বসুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু এখনও ক্ষমা চাইতে রাজি নন ডিন্ডা।
তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না তা নিয়ে কোনও ধারণা নেই বাংলা কোচের। বলছিলেন, ‘‘ডিন্ডা কী করবে তা আমি জানি না। তবে এই পিচে ওকে পেলে ভাল লাগত।’’
ওপেনার অভিষেক রামনের সেঞ্চুরির প্রশংসাও করে গেলেন কোচ। বলছিলেন, ‘‘অসাধারণ ইনিংস। ঘাসে ভরা উইকেটে দুরন্ত ব্যাট করল। বিপক্ষ বোলারেরা উইকেট থেকে সাহায্য তুলতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু রামন এক দিক থেকে না ধরলে দিনের শেষে হাতে উইকেট থাকত না।’’ অরুণ আরও বলেন, ‘‘কাল যত রান করা যায় ততই আমাদের সুবিধা। আশা করি, সেঞ্চুরি করে থেমে যাবে না রামনের ব্যাট।’’
অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় রান না পাওয়া সত্ত্বেও বাংলার ব্যাটসম্যানেরা যে ভেঙে পড়েননি তা দেখে খুশি কোচ। অরুণ বলে গেলেন, ‘‘এটাই দেখতে চেয়েছিলাম। ভাল রান করলে এই ম্যাচ থেকেও পুরো পয়েন্ট পাওয়া যেতে পারে।’’