দুরন্ত: এ মরসুমে লা লিগায় পঞ্চম গোলের পরে ফাতি। —ছবি এপি।
বার্সেলোনা ২ • লেগানেস ০
এক জনের পায়ের জাদুতে দীর্ঘ দিন ধরেই আচ্ছন্ন ফুটবলবিশ্ব। আর এক জন মাত্র সতেরো বছর বয়সেই ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্প ন্যু-তে এই দুই তারকার যুগলবন্দিতেই লা লিগা খেতাব জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। প্রথম জন লিয়োনেল মেসি। অন্য জন আনসুমানে ফাতি।
প্রত্যাশা মতোই লুইস সুয়ারেসকে বাইরে রেখে প্রথম একাদশ গড়েছিলেন বার্সা ম্যানেজার কিকে সেতিয়েন। মেসির সঙ্গে শুরু থেকেই রেখেছিলেন ‘বিস্ময় বালক’ আনসুকে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় বার্সা। এই মরসুমে লা লিগায় পঞ্চম গোল করলেন আনসু। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি।
পশ্চিম আফ্রিকার গিনেয়া বিসাও-এ জন্ম আনসুর। তাঁর যখন ছ’বছর বয়স, পাকাপাকি ভাবে স্পেনে চলে আসে ফাতি পরিবার। পরিবারের আর্থিক সঙ্কটে আনসুর বাবা ফরি ফাতির ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। বাধ্য হয়েই নিজের দেশ ছেড়ে পরিবার নিয়ে স্পেনের সেভিয়ায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু নতুন দেশে চাকরি না পেয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সন্তানদের জন্য খাবার ভিক্ষে করতেন তিনি। পরিস্থিতি কিছুটা বদলায় শহরের মেয়র ফরিকে তাঁর গাড়ির চালক হিসেবে নিয়োগ করায়। আনসুর দুই দাদা বারিমা ও মিগুয়েলকে তিনি ভর্তি করে দেন স্থানীয় ক্লাব এরেরা এফসি-তে। বার্সার নতুন তারকারও ফুটবল শুরু এই ক্লাব থেকে।
আরও পড়ুন: অবসর নিয়ে নিচ্ছিলেন সচিন, ফাঁস গুরু গ্যারির
মেসির মতো আনসুর উত্থানও লা মাসিয়া থেকে। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ১৩ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন বার্সার অ্যাকাডেমিতে। ২০১২ সালে আনসু যখন লা মাসিয়ায় ভর্তি হন, তখন তাঁর বয়স মাত্র দশ। ২০১৯-’২০ মরসুমে সিনিয়র দলে সুযোগ পান তিনি। তাঁর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করার সময়ই বার্সা কর্তারা বুঝে গিয়েছিলেন, ভবিষ্যতের তারকা আনসু। এই কারণেই তাঁর রিলিজ ক্লজ (ক্লাব ছাড়ার শর্ত) ১০০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৫৫ কোটি) ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: চাণক্য ফ্লিকের হাত ধরেই ফের জার্মানি সেরা বায়ার্ন