ফ্রেঞ্চ ওপেনে ‘বিগ ফোর’-এর শুধু জোকোভিচকে দেখা যাবে। ছবি: টুইটার।
রাফায়েল নাদালের পর অ্যান্ডি মারে। ফিটনেস সমস্যার জন্য ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন উইম্বলডনের প্রস্তুতিতে। গত বছর অবসর নিয়েছেন রজার ফেডেরার। ফলে টেনিস দুনিয়ার ‘বিগ ফোর’-এর এক মাত্র নোভাক জোকোভিচকে দেখা যেতে পারে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে।
আরও বিবর্ণ হতে চলেছে এ বারের ফ্রেঞ্চ ওপেন। লাল সুরকির কোর্টে দেখা যাবে না মারেকেও। প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। ৩৬ বছরের স্কটিশ তারকার লক্ষ্য সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উইম্বলডন খেলা। তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক মারে অবশ্য ২০১৭ সাল থেকে মাত্র এক বারই ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলেছেন। বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে তাঁর সেরা ফল ২০১৬ সালে। সে বার ফাইনালে উঠলেও খেতাব জিততে পারেননি।
মে মাসেই ক্লে কোর্টে একটি চ্যালেঞ্জার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেও সেরা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না মারেকে। রোম, মাদ্রিদ, মন্টে কার্লো মাস্টার্সে নিজের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মারে। গত মাসে মারে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ ফিট থাকলে ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলার চেষ্টা করবেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত ফিটনেসের জন্যই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে মারে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন। মারে বলেছেন, ‘‘টেনিসজীবনের এই পর্যায়ে আমাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঠিক করতে হবে। শরীরের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। মনে হচ্ছে একদম উইম্বলডনের জন্য চেষ্টা করাই ভাল হবে।’’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই চোটের জন্য নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১৪ বার ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল।
ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করলেও মারে ৪ জুন থেকে ১১ জুন ঘাসের কোর্টে খেলবেন সারবিটন চ্যালেঞ্জার্সে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে এই প্রতিযোগিতা। তার পর ১৯ জুন থেকে ২৫ জুন মারে কুইন্স ক্লাবের ঘাসের কোর্টে খেলবেন ক্লিঞ্চ চ্যাম্পিয়নশিপ। দু’টি প্রতিযোগিতাতেই তিনি নামবেন উইম্বলডনের প্রস্তুতি হিসাবে। এটিপি ক্রমতালিকায় এখন মারে রয়েছেন ৪২ নম্বরে।