মারের পতন। ম্যাচ অবশ্য জিতলেন। বুধবার।-এএফপি
বিশ্বের এক নম্বর অ্যান্ডি মারে কোর্টে হুমড়ি খেয়ে পড়া সত্ত্বেও মাত্র পাঁচটা গেম খুইয়ে জিতলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। বিশ্ব ক্রমপর্যায়ে ১৫৬ নম্বর আন্দ্রে রুবলেভকে ৬-৩, ৬-০, ৬-২ হারাতে তৃতীয় সেটের তৃতীয় গেমে ডান পায়ের জুতো উল্টে গিয়ে কোর্টে পড়ে গিয়েও সমস্যা হয়নি শীর্ষ বাছাই মারের। কিন্তু স্যর অ্যান্ডি বুধবার নৈশালোকোজ্জ্বল রড লেভার কোর্টে পড়ে যাওয়ার পর মুহূর্তে ওঠার সময় যা স্বগোতক্তি করেন, সাইডলাইনের টিভি মাইক্রোফোনে তা প্রকাশ্য হতে মারে-ভক্তরা টেনশনে। ‘‘এটা মোটেই ভাল খবর নয়,’’ ওই সময় নিজের মনে উঠেছিলেন মারে। পরের ‘সার্ভিস চেঞ্জ ওভার’-এর সময়ই ট্রেনারকে কোর্টে ডেকে এনে পায়ের শুশ্রূষা করান তিনি। কিন্তু তার বাড়তি একটুও সময় নেননি ‘মেডিক্যাল টাইম আউট’-এর। জিতে উঠেও ফ্যানদের আশ্বস্ত করেছেন সদ্য নাইটহুড পাওয়া স্কট। ‘‘অল্প একটু ব্যথা আছে। তবে সিরিয়স কিছু নয়।’’
টেনিসমহলে কেউ কেউ বরং রজার ফেডেরারের এ বার অস্ট্রেলীয় ওপেনে ‘ব্যথা’ শুরু হতে পারে, মনে করছেন। মার্কিন কোয়ালিফায়ার নোয়া রুবিনকে সতেরো গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন এ দিন ৭-৫, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৩) হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেও তৃতীয় সেটে ২-৫ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় নিজের সার্ভিসে দু’টো সেট পয়েন্ট বাঁচাতে হয় তাঁকে। ১৭ নম্বর বাছাই ফেডেরার আঁতে ঘা খেয়ে এর পর অনামী প্রতিপক্ষের সার্ভিস দু’বার ভেঙে সেট টাইব্রেকারে নিয়ে যান। এবং সেখানেও দাপটে জেতেন। পরের ম্যাচেই দশম বাছাই তথা গ্র্যান্ড স্ল্যামে পোড়খাওয়া টমাস বার্ডিচের মুখোমুখি ফেডেরার। মানে পঁয়ত্রিশের সুইসের আসল যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। যদিও আত্মবিশ্বাসী ফেডেরার বলছেন, ‘‘এখানে আমি অনেক, অনেক বার খেলেছি। যেটা আমার অ্যাডভান্টেজ হতে পারে এ বার।’’
মরসুমের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের চতুর্থ দিন ওয়ারিঙ্কা, নিশিকোরি, ভিনাস, মুগুরুজা, বুশার্ডের মতো তারকাদের দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার মাঝে বড় অঘটন সপ্তম বাছাই মারিন চিলিচের বিদায়। প্রাক্তন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়নকে এক সেট পিছিয়ে পড়েও ৩-১ সেটে হারান মারের দেশের নতুন টেনিস প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃত ড্যানিয়েল ইভান্স।
‘বার্থ ডে গার্ল’ অ্যাঞ্জেলিক কের্বারের দিনটাও আর একটু হলে চিলিচের মতো তিতকুটে হয়ে দাঁড়াচ্ছিল! সকালে রড লেভার এরিনায় বিশ্বের এক নম্বর, গত বারের চ্যাম্পিয়ন, এ বারের শীর্ষ বাছাই জার্মান মেয়ে পা রাখতেই গ্যালারি চিৎকার জোড়ে ‘‘হ্যাপি বার্থ ডে!’’ কিন্তু কের্বারের কোর্টে উনত্রিশতম জন্মদিন আগাগোড়া মোটেই আনন্দে কাটেনি। সতীর্থ জার্মান উইদোয়েফ্টের বিরুদ্ধে প্রথম সেট জিতলেও দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে হেরে বসেন। অপ্রত্যাশিত ধাক্কায় তৃতীয় সেটের শুরুতেও কের্বারকে নড়বড়ে দেখাচ্ছিল। শেষমেশ পরিস্থিতি সামলে তিনি তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেন। ৬-২, ৬-৭ (৩-৭), ৬-২। তার পর কোর্টেই টিভি সাক্ষাৎকারে জন্মদিন কী ভাবে সেলিব্রেট করবেন জানাতে গিয়ে নিচু গলায় শুধু বলেন, ‘‘সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে ডিনার করব। ব্যাস, আর কী!’’