যুগলবন্দি: বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল রূপকথার অঙ্গ।
বার্সেলোনায় খেলার সময় একবার গভীর মানসিক অবসাদে তলিয়ে গিয়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। বার্সার কিংবদন্তি ফুটবলার তখন রাতে নিজের বাবা-মা’র সঙ্গে শুতেন। বিস্ময়ের ব্যাপার, ইনিয়েস্তার বয়স তখন পঁচিশ! এক টিভি চ্যানেল লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন সতীর্থকে নিয়ে বানিয়েছে তথ্যচিত্র। যেখানে জানা গিয়েছে, ইনিয়েস্তার জীবনের অনেক অজানা কাহিনি। পঁচিশ বছর বয়সে তাঁর মানসিক অবসাদে চলে যাওয়ার ঘটনা যেমন।
২০০৯-এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পরে ইনিয়েস্তা চোট নিয়ে খুব ভুগেছিলেন। সে সময়ই তাঁর বন্ধু এসপানিয়োলের ডিফেন্ডার ২৬ বছরের দানি জারকোয়ের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যা তিনি নিতে পারেননি। ‘‘একটার পর একটা দিন চলে যাচ্ছিল জীবন থেকে। বুঝতে পারছিলাম, আমার কোনও উন্নতিই হচ্ছে না। ভালও লাগত না কিছু। মনে হত, আমি আর নিজের মধ্যে নেই। চারপাশটা মেঘে ঢাকা। অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি,’’ বলেছেন বার্সা তথা স্পেনের সর্বকালের অন্যতম সেরা ‘প্লে-মেকার’। বন্ধু জারকোয়েরের মৃত্যু প্রসঙ্গে ইনিয়েস্তা যোগ করেছেন, ‘‘সেটা ছিল বিরাট আঘাত। সেই আঘাতে আমি যেন মাটিতে গিয়ে পড়লাম। মানসিক ভাবেও খুব খারাপ জায়গায় তখন আমি।’’
তথ্যচিত্রে দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করেছেন ইনিয়েস্তার মা মারিয়া লুজান এবং বাবা হোসে আন্তোনিয়ো। মারিয়া বলেছেন, ‘‘এক দিন রাতে বুঝলাম আমার ছেলেটা একেবারেই ভাল নেই। উপর থেকে নীচে নেমে এসে ও আমাদের সঙ্গে শুতে চাইল। চমকে গেলাম। মারাত্মক ভয় গেলাম।’’
ইনিয়েস্তার বাবার কথায়, ‘‘তখন ওর বয়স পঁচিশ। সেটা একবার ভাবুন। ওই বয়সের একটা ছেলে মাঝরাতে এসে বাবা-মা’র সঙ্গে শুতে চাইছে! তার তো একটাই অর্থ হয়। ও সেই সময় একেবারেই সুস্থ ছিল না। মনে আছে আমাকে বলেছিল, ‘বাবা, আমি ভাল নেই।’ আমি বললাম, কেন তোমার কী হয়েছে বলো। সমস্যাটা বলো। ও উত্তরে বলেছিল, কারণটা নিজেও বুঝছে না।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)