আনন্দ অমৃতরাজ ও জিশান আলি: ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন।
ডেভিস কাপাররা চাইলেও আনন্দ অমৃতরাজ ও জিশান আলিকে ভারতীয় দলের সঙ্গে রাখা হবে কি না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থাই (এআইটিএ)। ২৯ ডিসেম্বর এক সভা ডেকে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি সোমদেব দেববর্মন, য়ুকি ভামব্রি, সাকেত মিনেনি, রামকুমার রামনাথনদের মতো ডেভিস কাপাররা এক চিঠিতে নাকি এআইটিএ-কে জানিয়েছেন, তাঁরা চান অমৃতরাজ ও জিশান যথাক্রমে নন প্লেইং ক্যাপ্টেন ও কোচের পদে বহাল থাকুন। রবিবার সংবাদসংস্থা জানায় এই খবর। এ বছরের শেষেই এই দু’জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পুণেতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারত-নিউজিল্যান্ড টাইয়ের আগে নতুন সাপোর্ট স্টাফের নাম চূড়ান্ত করে ফেলার কথা সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার।
এআইটিএ সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ রকম চিঠি পেয়েছেন মানলেও সেটা যে প্লেয়ারদের থেকে এসেছে, এমনটা মানতে চাইছেন না। তিনি বলেন, ‘‘এ রকম কোনও চিঠি প্লেয়াররা পাঠিয়েছে বলে মনে হয় না। ওদের নাম করে সম্ভবত কোনও এজেন্ট এই চিঠি পাঠিয়েছে।’’ সচিব অবশ্য জানান, কেউ চিঠি দিলেও নতুন সাপোর্ট স্টাফ বাছাইয়ে তার প্রভাব পড়বে না।
হিরন্ময়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘জানি না কেন এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে আমাদের। তবে এই চিঠির কোনও গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই। এআইটিএ তার নিজস্ব নিয়মেই কোচ ও ক্যাপ্টেন ঠিক করবে। আনন্দ আর জিশানকে বহাল রাখা হবে কি না, তা আমরাই ঠিক করব। সম্ভবত ২৯ তারিখ বৈঠক ডেকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’’
২০১৩-য় প্লেয়ারদের অনুরোধ মেনেই এস পি মিশ্র ও নন্দন বলকে সরিয়ে আনন্দ ও জিশানকে এনেছিল এআইটিএ। কিন্তু এ বার ছবিটা সে রকম নয় বলেই শোনা যাচ্ছে। স্পেনের বিরুদ্ধে সন্ধেবেলায় টাই হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আনন্দ। যা এআইটিএ কর্তারা ভালভাবে নেননি। তারই জেরে তাঁকে ছাঁটা হতে পারে, এমন খবর রয়েছে দেশের টেনিস মহলে।