দাপট: ফাইনালে ওঠার পরে অমিতের উচ্ছ্বাস। বিএফআই
দুবাইয়ের রিংয়ে চলছে ভারতীয় বক্সারদের শাসন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন অমিত পঙ্ঘাল এবং শিবা থাপা পৌঁছে গেলেন চলতি এশীয় বক্সিং প্রতিযোগিতার ফাইনালে।
শুক্রবার ৫২ কেজি বিভাগে অমিত হারালেন কাজ়াখস্তানের সাকেন বিবোসিনভকে। ভারতীয় বক্সারের পক্ষে লড়াইয়ের ফল ৫-০। অমিতের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি সাকেন।
পিছিয়ে ছিলেন না শিবা থাপাও। ৬৪ কেজি বিভাগে নক-আউট করে দেন তাজিকিস্তানের বাখোদুর উসমোনভকে। ভারতীয় বক্সারের পক্ষে ম্যাচের ফল ৪-০।
তবে হতাশ করেছেন বিকাশ কৃষান। ৬৯ কেজি বিভাগে তিনি হেরে যান গতবারের চ্যাম্পিয়ন, উজ়বেকিস্তানের বাতুরভ বোবো-উসমনের বিরুদ্ধে। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন চোখের উপরে পুরনো চোটের জায়গায় ফের আঘাত পান বিকাশ। বাধ্য হয়ে রেফারি লড়াই থামিয়ে দেন। ফলে ব্রোঞ্জ পদকেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার ৫৪ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে কাজ়াখস্তানের দিনা জোহলামানকে ৩-২ হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন ভারতের সাক্ষী চৌধরী। হারের পরেই ম্যাচের ফল রিভিউ (পুনরায় দেখা) করার দাবি জানান দিনা। শুক্রবার সেই রিভিউয়ের ফল প্রকাশ হয়েছে। যেখানে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে দিনাকেই। এশীয় বক্সিং কনফেডারেশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘মহিলাদের ব্যান্টমওয়েটে কাজ়াখস্তানের দিনা জোহলামান হারিয়েছেন ভারতের সাক্ষী চৌধরীকে।’’
এ দিকে, মহিলাদের বক্সিংয়ে ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কিংবদন্তি মহিলা বক্সার মেরি কম জানালেন, তাঁর অনুশীলন ব্যাহত হয়েছে করোনা অতিমারির জন্য। যে কারণে, মহড়ার জন্য সঙ্গী বা ভাল মানের প্রতিযোগিতা পেতে অসুবিধা হচ্ছে তাঁর। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বক্সিং সংস্থা(এআইবিএ)-কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বেশি হচ্ছে না। সে কারণেই দুবাইয়ে এশীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে লড়তে এসেছি। দু’মাস আগে স্পেনে একটি প্রতিযোগিতায় নেমেছিলাম।’’ ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় ব্যাহত হয়েছে প্রস্তুতি। মেরি বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে মহড়ার সময় যাঁরা লড়েন, তাঁদের বেশির ভাগই মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নিভৃতবাসে কিংবা হাসপাতালে রয়েছেন। তাতে প্রস্তুতি অনেকটাই বিঘ্নিত হয়েছে।’’
গত মাসেই নয়াদিল্লিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় শিবির বাতিল করে জাতীয় বক্সিং সংস্থা। শিবির স্থানান্তরিত হয়েছিল পুণের সেনা শিবিরে। মেরি সেখানে পৌঁছে গেলেও, তাঁর কোচ ছোটেলাল যাদব করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১৫ দিন নিভৃতবাসে থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেন। মেরি বলেছেন, ‘‘অনুশীলন বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। সেনাবাহিনীর করোনা প্রতিরোধ সুরক্ষা নীতি অনুযায়ী, প্রস্তুতি শুরু করার আগে আরও এক সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে হয়। দুবাইয়ে এসেছি মাত্র এক সপ্তাহ অনুশীলন করে।’’
ফাইনাল নিয়ে মেরি বলেছেন, ‘‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নই। কাজ়াখস্তানের বক্সার নাজিম কিজাইবের বিরুদ্ধে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামার জন্য প্রহর গুনছি।’’ এর আগে এশীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় পাঁচ বার সোনা জিতেছেন মেরি। এ বার চ্যাম্পিয়ন হলে ষষ্ঠ খেতাব জিতবেন তিনি। সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বক্সারের বিরুদ্ধে শুরুটা ছন্দে না থাকলেও পরে ৪-১ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন তিনি।