২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর ওয়ানডে খেলেননি অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
অজিঙ্ক রাহানেকে যে ভাবে ভারতের এক দিনের ভাবনা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, তা মানতে পারছেন না আকাশ চোপড়া। প্রাক্তন জাতীয় ওপেনারের মতে, যে ভাবে দুধ থেকে মাছি তাড়ানো হয়, ঠিক সেই ভঙ্গিতে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে সরানো হয়েছে রাহানেকে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায়নি রাহানেকে। এই ফরম্যাটে চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহানে ভালই খেলেছিলেন। চার নম্বরে নেমে ২৫ ম্যাচে ৩৬.৬৫ গড়ে ৮৪৩ রান করেছেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে ধরলে চার নম্বরে তাঁর গড় ৪৪.৮৫, স্ট্রাইক রেট প্রায় ৯০।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ চোপড়া বলেছেন, “চার নম্বরে ওর রেকর্ড ভাল। আর চার নম্বরে যদি কেউ ভাল পারফরম্যান্স দেয়, ধারাবাহিকতা দেখায়, স্ট্রাইক রেটও ৯৪-র আশেপাশে দেখায়, তবে কেন তাকে বেশি সুযোগ দেওয়া হবে না? হঠাৎই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল রাহানেকে। অনেকটা যে ভাবে দুধের উপর থেকে মাছি তাড়ানো হয়, ঠিক সে ভাবে। কেন এমনটা করা হল? আমার মনে হয় ওর প্রতি সুবিচার করা হয়নি।”
আরও পড়ুন: গাওস্কর ডিফেন্সিভ ক্যাপ্টেন? বিশ্লেষণে ঘাউড়ি-মদন লাল-সদানন্দ বিশ্বনাথ
আরও পড়ুন: ‘মুম্বইয়ে যখন গলি ক্রিকেট খেলত, তখনও কিছুতেই আউট হতে চাইত না’
দলের ব্যাটিং স্টাইলের সঙ্গে রাহানের খেলার ধরন মানিয়ে যেত বলে মনে করছেন অধুনা ধারাভাষ্যকার চোপড়া। তাঁর মতে, “ভারত যদি ইংল্যান্ডের মতো হতো, যদি প্রতি ম্যাচে ৩৫০ করার কথা ভাবত, যদি শুধু ও ভাবেই খেলার কথা ভাবত, তবে কথা ছিল। কিন্তু আমরা তো সে ভাবে খেলি না। আমরা ট্র্যাডিশনাল অর্থোডক্স ভাবেই ক্রিকেট খেলি। আমরা এখনও ইনিংস গড়ার কথা ভাবি। এমন দল গড়ি যাতে ৩২৫ রানের আশেপাশে রান করা যায়। তাই অজিঙ্ক রাহানে দলে ফিট হতেই পারে। আমার মনে হয় ওর প্রতি অবিচার হয়েছে। কারণ, যখন এক দিনের দল থেকে ওকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তখন ও একেবারে ঠিকঠাক খেলছিল। ভাল খেলার পরও কাউকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। সত্যি বলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ও বেশ ভাল খেলেছিল। ২০১৮ সালে ওর খেলার কথা আমার মনে আছে। আবার সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল ওর।”