রানআউট হয়ে হতাশ ঋষভ পন্থ। ওয়েলিংটনে শনিবার। ছবি: এএফপি।
ওয়েলিংটনের আগে খেলেছিলেন ৬৩ টেস্ট। কিন্তু এই লম্বা টেস্ট কেরিয়ারে কখনও কাউকে রান আউট করাননি অজিঙ্ক রাহানে। যা ঘটল শনিবার বেসিন রিজার্ভে। যখন তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হল ঋষভ পন্থকে।
এটা ছিল ভারতের ইনিংসের ৫৯তম ওভার। পয়েন্টে বল ঠেলে খুচরো রান নিতে এগিয়েছিলেন রাহানে। নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা ঋষভ কয়েক পা এগিয়ে উপলব্ধি করেন যে রান নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, পয়েন্টে আজাজ পটেল দ্রুত চলে আসছেন বলের দিকে। তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন ‘নো’ বলে। রাহানে কিন্তু বলের দিকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে খেয়াল করেননি নন-স্ট্রাইকার কী বলছেন সেই দিকে।
শেষ পর্যন্ত রাহানের বাঁচাতে দিয়ে নিজের উইকেট বিসর্জন দেন পন্থ। তিনি দৌড়তে থাকেন রান নেওয়ার জন্য। কিন্তু ক্রিজে পৌঁছনোর অনেক আগেই আজাজ পটেলের থ্রো ভেঙে দেয় স্টাম্প। এই প্রথম বার টেস্টে কোনও রানআউটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন রাহানে।
আরও পড়ুন: তা হলে সেরা কিপার হয়ে কী লাভ! ঋদ্ধির সমর্থনে ক্ষোভ উগরে দিলেন হর্ষ ভোগলে
আরও পড়ুন: সৌরভ-মনোজকে ধন্যবাদ জানিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন প্রজ্ঞান ওঝা
এ ভাবে আউট হওয়া মানতে পারেননি ঋষভ পন্থ। তাঁর শরীরী ভাষায় সেই অসন্তোষ ফুটেও ওঠে। নিউজিল্যান্ড সফরে এসে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি তিনি। পুরো সফর বসে থাকার পর সুযোগ এসেছে টেস্টে। অবশ্য ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্তে তাঁকে খেলানোর সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে ক্রিকেটমহলে। কিন্তু, সমালোচকদের জবাব দেওয়ার সুযোগ তিনি পেলেন না। রানআউট হয়ে ফিরতে হল ১৯ রানে। ভারতের ইনিংসেও দাঁড়ি পড়ল মাত্র ১৬৫ রানে। রাহানে থামলেন ৪৬ রানে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য রানআউটের নেপথ্যে ঋষভের দোষ দেখছেন। সঞ্জয় মঞ্জরেকর ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ব্যাখ্যা করেন, “কোথায় বল, সেটা দেখার চেষ্টা করছিল পন্থ। এই কারণেই দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিল। যদি পন্থ সতীর্থের উপর ভরসা রেখে দৌড়ত, তা হলে হয়তো ক্রিজে পৌঁছে যেত ঠিক সময়ে। আজাজ মোটেই ক্ষিপ্রতম ফিল্ডারদের মধ্যে পড়েন না। কিন্তু পন্থ দেখতে চেয়েছিল বলটা কোথায়। রাহানের উপর ভরসা রাখতেই পারত পন্থ।” আর স্কট স্টাইরিস বলেছেন, “নিজের পার্টনারের উপর ভরসা রাখতে হয়। ও রাহানেকে ভরসা করেনি, এটাই হতাশার।”