কলকাতার দুই প্রধানের চাপে মানতে বাধ্য হলেও আই লিগের অন্তত দু’টি টিম আট বিদেশি সই করানোর নতুন নিয়মে তীব্র সমস্যায়। দলগুলি হল মিনার্ভা পঞ্জাব এবং ডিএসকে শিবাজিয়ান্স। দুটি ক্লাবই তাদের বেশিরভাগ ফুটবলারকে গত মরসুমে টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ আসছে ফেডারেশনের কাছে। ফুটবলাররা কর্তাদের কাছে ফোনও করছেন।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফেডারেশনের সঙ্গে আই লিগ ক্লাবগুলির সভায় যখন আইএসএলের মতো আট ফুটবলার নথিভুক্ত করার প্রস্তাব তোলে দুই প্রধান তখন ওই দুই ক্লাবের কর্তারাই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় চার্চিল ব্রাদার্সও। তাঁদের সবার বক্তব্য, এত বিদেশি সই করাতে গেলে যা খরচ বাড়বে সেটা বহন করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়েন ফেডারেশন সচিব-সহ তিন কর্তাই। তাঁরা বেরিয়ে যান সভা থেকে। ক্লাব কর্তাদের বলে যান, ‘‘আপনারা আগে আলোচনা করে ঠিক করুন, কী করবেন। তারপর আমরা সভায় ঢুকব।’’ এর পর কার্যত দুই প্রধান ও আইজল এফসি-র চাপে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। ৫ জুলাই লিগ কমিটির সভা। বৃহস্পতিবারের সব সিদ্ধান্তের উপর সরকারি ভাবে সিলমোহর পড়বে। কিন্তু যা খবর, দুই প্রধান পারলেও পঞ্জাব বা শিবাজিয়ান্সের মতো টিম পুরো কোটা পূরণ করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, সামনের বুধবার লিগের সভা হয়ে যাওয়ার পরই নতুন টিমের জন্য বিজ্ঞাপন দেবে ফেডারেশন।
আই লিগ ক্লাবগুলিকে ঠান্ডা করার পর আইএসএল অবশ্য ফুটবলার নিলামের প্রস্তুতি শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেই মুম্বইতে তা হবে। সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দু’জন করে দেশীয় ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলতে।
আরও পড়ুন: রাফা-রজার ফাইনালের দরজা খোলা