প্রতীকী ছবি।
মোহনবাগানই এ বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন, তা নিয়ে ফেডারেশনের অন্দরে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু লিগ বাতিল করে কোন পথে সেই ঘোষণা হবে, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করলেন ফেডারেশন কর্তারা। আগামী বুধবারের মধ্যেই এ নিয়ে নিষ্পত্তি করে ফেলতে চাইছেন ফেডারেশন কর্তারা। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস শুক্রবার দিল্লি থেকে বলে দিলেন, “লিগ কমিটির সিদ্ধান্তের পরে তাতে কর্মসমিতির সিলমোহর লাগে কি না, তা জানতে আমরা আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি।”
আজ, শনিবার বিকেল চারটেয় লিগ কমিটির সভা। দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। তাই ভিডিয়ো কনফারেন্স করেই সিদ্ধান্ত নেবেন কমিটির সদস্যরা। লিগ বাতিল করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কারণ সব দলই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে লিগ বাতিল করলে তারা আপত্তি করবে না। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল চিঠি দিয়ে দাবি করেছে, সমস্ত কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, লিগ বাতিল করে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করলে তাদেরও রানার্স ঘোষণা করা হোক। না হলে পুরো লিগই বাতিল করা হোক। এএফসিকেও এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। ফেডারেশন সূত্রের খবর, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনই ইতিমধ্যে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, লিগের বাকি ৪২টা ম্যাচ শেষ হলেও কারও পক্ষে মোহনবাগানকে লিগ টেবিলে টপকানো সম্ভব নয়। ফলে লিগ শেষ না-করা গেলেও মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে সমস্যা নেই।
কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে রানার্স ঘোষণা করলে বেঁকে বসতে পারে রিয়াল কাশ্মীর ও গোকুলম এফসি। কারণ দু’টি দলই ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লিগ টেবিলে। তাই ইস্টবেঙ্গলের দাবি মানতে নারাজ ফেডারেশন কর্তারা। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত বললেন, “নিয়মেই আছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে লিগ বাতিল করা যায়। সেটাই হবে। অবনমনের তাই কোনও প্রশ্ন নেই। পুরস্কার অর্থও ভাগ করে দেওয়ার কথাও আমরা ভাবতে পারি। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ ঘোষণার এক্তিয়ার এই কমিটির নেই। সেটা করবে কর্মসমিতি।”