শারাপোভার পর নির্বাসিত আর এক টেনিস খেলোয়াড়। ফাইল ছবি
বিশ্ব টেনিসে আবার ডোপিংয়ের ঘটনা। মারিয়া শারাপোভার পর এ বার নির্বাসিত হলেন সিমোনা হালেপ। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড় এবং দু’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ীকে সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করেছে আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি সংস্থা। ইউএস ওপেনের সময়েই তাঁর ডোপ পরীক্ষা করা হয়। দু’টি নমুনার ফলাফলই পজ়িটিভ এসেছে।
শুক্রবার বিকেলে এই খবর প্রকাশিত হতেই বিস্ময় টেনিসমহলে। হালেপ এর আগে কোনও দিন কোনও বিতর্কে জড়াননি। তিনি যে নিষিদ্ধ কোনও ওষুধ নেবেন, এটা কেউই বিশ্বাসই করতে পারছেন না। জানা গিয়েছে, তিনি রোক্সাডুস্টাট নামে একটি ওষুধ নিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৭ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক করে শারাপোভা নিজেই ডোপিং করে নির্বাসিত হওয়ার খবর জানান। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নমুনায় মেলডোনিয়াম নামে নিষিদ্ধ ড্রাগের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকেও সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করা হয়। পরে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট শারাপোভার নির্বাসন ২৪ থেকে কমিয়ে ১৫ মাস করে। শারাপোভা খেলায় ফিরলেও পুরনো ছন্দে দেখা যায়নি। হালেপের কাছেও সুযোগ রয়েছে আবেদন করার।
নির্বাসনের পরেই বিবৃতি দিয়ে হালেপ লিখেছেন, “আজ থেকে আমার জীবনের কঠিনতম অধ্যায় শুরু। শুনেছি যে আমার নমুনায় ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে। খুবই কম পরিমাণে সেই ড্রাগ থাকলেও আমি অত্যন্ত অবাক। গোটা জীবনে প্রতারণার কথা কখনওই আমার মাথায় আসেনি। এ ধরনের কাজ আমার মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি নিজেই দ্বিধাগ্রস্ত এবং প্রতারিত। ইচ্ছে করে যে এই ওষুধ নিইনি, সেটা প্রমাণ করার জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। সত্যের উপর আমার ভরসা রয়েছে। ২৫ বছর ধরে টেনিস খেলে যে সম্মান অর্জন করেছি, তা এত সহজে মিলিয়ে যেতে দেব না।”