বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোহিত। ফাইল ছবি
আগামী রবিবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত। বৃষ্টিতে খেলা হবে কিনা সেটা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু ভারতের প্রস্তুতিতে যে কোনও ফাঁক নেই, সেটা বোঝা গেল রোহিত শর্মাকে দেখে। ভারতের অধিনায়ক ক্রিজে যে মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করলেন, তাতে আতঙ্কে থাকতে পারেন শাহিন আফ্রিদিরা।
ভারতের হয়ে যতই সুনাম অর্জন করুন, এখনও রোহিতকে মাঝেমাঝে শুনতে হয়, তিনি নাকি ‘অলস’ ক্রিকেটার। যথেষ্ট পরিশ্রম করেন না অনুশীলনে। বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্যরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেন, তাতেই নাকি অনাগ্রহ রোহিতের। শুক্রবার মেলবোর্নের অনুশীলন দেখলে তা বোঝা যাবে না।
শাহিনের সুইং এবং গতির বিরুদ্ধে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল রোহিতকে। খুব বেশি আড়াআড়ি ব্যাটে শট খেলার চেষ্টা করেননি এ দিন। চেষ্টা করলেন ‘ভি’ অঞ্চল, অর্থাৎ উল্টোদিকের উইকেটের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে শট মারার। যে শ’খানেক দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন, তাঁদের আগ্রহ ছিল রোহিতকে নিয়েই। দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ঝাড়া দেড় ঘণ্টা গা ঘামালেন রোহিত।
কার্তিককে বেশির ভাগ সময়েই দেখা গেল সাধারণ শট খেলতে। তবে কয়েক বার পরীক্ষামূলক ভাবে ল্যাপ স্কুপ, রিভার্স ল্যাপ স্কুপ এবং পুল শটের প্রস্তুতিও সেরে রাখলেন। রোহিতেরও পুল শট পছন্দের। কিন্তু তিনি অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়ার রাস্তায় হাঁটেননি। কখনও রক্ষণ করলেন, কখনও সামনের পায়ে, কখনও পিছনের পায়ে খেললেন। ব্যাট থেকে কপিবুক কভার ড্রাইভ দেখা গেল বেশ কয়েক বার। মাঝে মাঝে অনুশীলন থামিয়ে কার্তিক এবং সতীর্থ দীপক হুডাকে দেখে নিলেন।
অনুশীলনের ফাঁকে এক বার নেট থেকে ঘর্মাক্ত শরীরে বেরিয়ে এসে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বললেন। অনেকেই ভেবেছিলেন অনুশীলন শেষ। কিন্তু রোহিতকে আবার নেটে ঢুকে পড়তে দেখা গেল। এ বার থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞ নুয়ান সেনাবীরত্নের থ্রো-ডাউন নিচ্ছিলেন তিনি। প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে বলগুলির কোনওটা ছাড়লেন, কোনওটা এগিয়ে এসে খেললেন। মুখে না বললেও বোঝা গেল প্রস্তুতিটা কার জন্য।