ফুটবলারদের বকেয়া বেতন না মেটানোর জন্য সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল।
কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার সাড়ে আট লক্ষ টাকা দেনা তো মাথার উপরে ছিলই, এ বার ক্লাবে খাইমে সান্তোস কোলাদোর চিঠিও চলে এল। তাঁর বকেয়া টাকার অঙ্ক প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকাও ৪৫ দিনের মধ্যে শোধ করতে হবে। একাধিক দেশি-বিদেশি ফুটবলার মিলিয়ে পাঁচ কোটি টাকার দেনায় ডুবে লাল-হলুদ। তাই নতুন মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করেছে ফিফা।
কোলাদোর এই চিঠি ফিফা চারদিন আগে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে পাঠিয়েছিল। নিয়মমতো সেই চিঠি চলে যায় শ্রী সিমেন্টের কাছে। বুধবার সেই চিঠি ক্লাবের কাছে পাঠিয়ে দিল লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী। যদিও কর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি তাঁরা এখনও এমন কোনও চিঠি হাতে পাননি। চিঠি হাতে পেলে বিচার বিবেচনা করবেন।
এই বিষয়ে দেবব্রত বলেন, “কোলাদোর বিষয়ে কোনও চিঠি তো ক্লাবের কাছে আসেনি। আগে হাতে চিঠি আসুক। তারপর কথা বলব।” যদিও শ্রী সিমেন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “জনি অ্যাকোস্টার মতো কোলাদোর চিঠিও ক্লাবকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বেতন বাকি থাকা যে যে ফুটবলারের চিঠি আসবে, সেগুলো ক্লাবকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই।”
চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে পুরনো বিনিয়োগকারী কোয়েসকে চিঠি দিয়েছিলেন অ্যাকোস্টা, কোলাদো, পিন্টু মাহাত, অভিষেক আম্বেকররা। এমনকি তৎকালীন স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারও তাঁর প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই চিঠিগুলো একাধিক বার শ্রী সিমেন্টের দপ্তর ছাড়াও লাল-হলুদ তাঁবুতেও এসেছিল। তবে বিনিয়োগকারী ও ক্লাবের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। ফলে বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য ফেডারেশন ও ফুটবলারদের সংস্থার (এফপিএআই) কাছেও আবেদন করেছিলেন একাধিক ফুটবলার।
অ্যাকোস্টার মতো কোলাদোর বকেয়া আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে শোধ করতে হবে। না হলে মেটানো হলে আবার ফিফার কড়া বার্তা আসবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানো হলেও লাল-হলুদের সমস্যা বাড়বে।