ছবি সংগৃহীত।
২০০৭ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সহবাগ, তরুণ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থাকা সত্ত্বেও নকআউট পর্বে যেতে পারেনি ভারত। কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের প্রশিক্ষণে একেই দলের মধ্যে একাধিক সমস্যায় তৈরি হয়, তার উপর বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন সচিন। ক্রিকেট থেকে অবসর নিতেও চেয়েছিলেন।
তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে এই তথ্য তুলে ধরেছিলেন সচিন। খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন ভিভ রিচার্ডস, গ্যারি কার্স্টেনরা। বুধবার এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচিনের সেই সময়ের কথা তুলে ধরলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ কার্স্টেন। গ্রেগ চলে যাওয়ার পরে ভেঙে পড়া ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেন কার্স্টেন। ২০০৮ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের কোচ হওয়ার পরে ২০১১ সালে তাঁর প্রশিক্ষণেই বিশ্বকাপ জেতে ভারত। অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলা সচিন, পরের তিন বছরে ১৮টি সেঞ্চুরি করে ফের স্বমেজাজে ফিরে আসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু কী করে এই পরিবর্তন সম্ভব হল? ভেঙে পড়া সচিনকে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দিলেন তৎকালীন ভারতীয় কোচ? সেই সাক্ষাৎকরে কার্স্টেন বলেন, ‘‘সে সময় সচিনের মনে হয়েছিল, ও আর ক্রিকেট উপভোগ করছে না। পছন্দ মতো ব্যাটিং অর্ডার পাচ্ছিল না। তাই রানও আসছিল না। ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিল ও।’’ যোগ করেন, ‘‘সেই সচিনই পরের তিন বছরে ১৮টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করে। ওর সৌজন্যে বিশ্বকাপও জিতি আমরা।’’