ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৬ সালে জীবনের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে নেমেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাইরোবিতে ৩৭ বলে দ্রুততম শতরান করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। শাহিদ আফ্রিদির এই বিশ্বরেকর্ড অক্ষত ছিল দীর্ঘ ১৮ বছর। তার পরে ভেঙে দেন নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন (৩৬ বলে)। এখন অবশ্য দ্রুততম ওয়ান ডে সেঞ্চুরির মালিক এ বি ডিভিলিয়ার্স (৩১ বলে)।
এ বার পাক দলে তাঁর তখনকার সতীর্থ আজহার মাহমুদ জানালেন, সে দিন সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাট দিয়েই ২২ গজে নজির গড়েছিলেন আফ্রিদি।
উল্লেখ্য, পাক ড্রেসিংরুমে এই ব্যাটটির মালিক তখন ছিলেন ওয়াকার ইউনিস। তাঁকে এই ব্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন সচিন। সেই ব্যাট নিয়েই সে দিন খেলতে নেমে ঝড় তুলেছিলেন ‘বুম বুম আফ্রিদি’। আজহার মাহমুদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান ‘এ’ দলের সঙ্গে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু স্পিনার মুস্তাক আহমেদ চোট পাওয়ায় দলে ডাকা হয় তাঁকে।
আজহারের কথায়, ‘‘১৯৯৬ সালে সহারা কাপের পরেই আমার সঙ্গে পাক দলে অভিষেক ঘটে আফ্রিদির। মুস্তাক আহমেদ আহত হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে উড়ে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেয় ও।’’
এক অনুষ্ঠানে আজহার এও জানিয়েছেন, অভিষেক ম্যাচে ছ’নম্বরে ব্যাট করার কথা ছিল আফ্রিদির। কিন্তু ওই ম্যাচে তাঁর ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। আজহার বলেছেন, ‘‘শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার জয়সূর্য ও কালুভিথরন শুরু থেকেই বিপক্ষ বোলিংকে আক্রমণ করত। তাই তিন নম্বরে আমাদের একজন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান খেলানোর দরকার ছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম বেছেছিল আফ্রিদি ও আমাকে। নেটে আমি সংযত ভাবে ব্যাট করলেও, আফ্রিদি ওখানেই আমাদের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে পরের ম্যাচের জন্য তিন নম্বরে নিজের জায়গা পাকা করে নেয়।’’
প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার আজহার সে দিনের ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরের দিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আফ্রিদিকেই তিন নম্বরে পাঠানো হয়েছিল। ওয়াকার (ইউনিস) একটা ব্যাট পেয়েছিল সচিনের কাছ থেকে। সেই ব্যাটটা নিয়েই আফ্রিদি সে দিন খেলতে নেমে ওই সেঞ্চুরিটা করে। তার পর থেকেই ও ব্যাটসম্যান হয়ে যায়। তার আগে ওর পরিচয় ছিল, একজন বোলার যে জোরে ব্যাট চালিয়ে চার-ছক্কাও মারতে পারে। কিন্তু ওই ইনিংসের পরে আফ্রিদি ব্যাটসম্যান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।’’