বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে নিজেদের তৃতীয় টেস্টেই দ্বিতীয় জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। কনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে রশিদ খান তাঁর দলকে শুধু যে জয়ের সরণিতে নিয়ে এলেন তাই নয়, গড়লেন ব্যক্তিগত রেকর্ডও। একই ম্যাচ ১১ উইকেট এবং অর্ধশতরান করা অধিনায়ক হিসেবে তিনি নাম লেখালেন ইমরান খান ও অ্যালান বর্ডারের সঙ্গে। দেখে নেওয়া যাক দ্বিতীয় জয় তুলতে কোন দলের কত ম্যাচ সময় লেগেছিল।
আফগান বাহিনী নাম লেখাল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। তাঁরাও টেস্টে দ্বিতীয় জয় পেতে সময় নিয়েছিল তিন ম্যাচ। অজিদের প্রথম টেস্ট জয় আসে প্রথম ম্যাচেই, ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে যায় ইংল্যান্ডের কাছে, চার উইকেটে। ১৮৭৯-এ মেলবোর্নে সেই ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েই তুলে নেয় দ্বিতীয় জয়।
দ্বিতীয় জয় পেতে ইংল্যান্ডকেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড প্রথম সিরিজ ছিল দুই ম্যাচের। যা ড্র হয় ১-১ ফলে। পরের সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচ খেলা হয় এবং জয় পায় অজিরা। পরের টেস্ট খেলা হয় ওভালে। পাঁচ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই দ্বিতীয় জয় পেয়ে যায় ইংরেজরা।
পাকিস্তান প্রথম টেস্ট খেলে ১৯৫২ সালে। ভারতের মাটিতে হওয়া সেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত যেতে ২-১ ফলে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ইনিংস এবং ৪৩ রানে হারায় তারা। পাক বাহিনী দ্বিতীয় সিরিজ খেলে ইংল্যান্ডে। সেখানে চার ম্যাচের সিরিজ ড্র হয় ১-১ ফলে। চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২৪ রানে হারিয়ে সিরিজ বাঁচায় তারা। নয় ম্যাচে তুলে নেয় দ্বিতীয় জয়।
টেস্টে প্রথম জয় পেতে ক্যারিবিয়ানদের অপেক্ষা করতে হয় ছয়টি ম্যাচ। দ্বিতীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২৮৯ রানে হারিয়ে প্রথম জয় পায় তারা। দ্বিতীয় জয় পায় তারপরের সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় পায় তারা, তাতে সিরিজে হার বাঁচাতে পারেনি। সেই জয় আসে ১২ নম্বর ম্যাচে।
দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট খেলতে শুরু করে ১৮৮৮ সালে কিন্তু প্রথম জয় পায় ১৯০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই সিরিজেই আসে দ্বিতীয় জয়ও। শুধু সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নেওয়াই নয়, তারা জিতে নেয় সিরিজও ৪-১ ব্যবধানে।১৩ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পায় আফ্রিকা।
১৯৮১ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ পায়। চার বছর বাদে ১৯৮৫ সালে প্রথম জয় পায় ভারতকে হারিয়ে নিজেদের মাটিতে। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি ম্যাচেই ফলাফল হয় আর তাতেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ১৪৯ রানে কলোম্বোতে কপিলদেবের ভারতকে হারায় তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসে ২০তম ম্যাচে।
ভারত জয় পায় প্রথম টেস্ট খেলার ২০ বছর পর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসে সেই জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৩০তম ম্যাচ অবধি। সেই জয় আসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালে। ৭০ রানে লালা অমরনাথের নেতৃত্বে জয় পায় তারা।
জিম্বাবোয়েকে ভারতের থেকে একটি ম্যাচ বেশি অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয় টেস্ট জয় পেতে। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে পায় প্রথম জয় এর দ্বিতীয় জয় আসে ১৯৯৮ সালে ভারতকে হারিয়ে।
কিয়ুইদের দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের অপেক্ষা বেশ দীর্ঘ। ৫৫তম টেস্টে আসে দ্বিতীয় জয়। ১৯৫৬ সালে ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয় আসে ১৯০ রানে। দ্বিতীয় টেস্ট জয় আসে ১৯৬১-এ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭২ রানে।
দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের স্বাদ পেতে সব চেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০০০ সালে প্রথম টেস্ট খেলার পর ২০০৪ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে আসে প্রথম জয়। দ্বিতীয় জয় আসে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেই সিরিজ জিতে হোয়াইট-ওয়াশ করে ক্যারিবিয়ানদের। ৬০তম টেস্টে আসে দ্বিতীয় জয়।