আস্থা: জাতীয় দলের দক্ষতায় ভরসা গিলক্রিস্টের। ফাইল চিত্র
ক্রিকেটের একমাত্র মুকুট, যা এখনও অস্ট্রেলিয়ার অধরা। এবং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মনে করছেন, তাঁদের দেশের ট্রফি ক্যাবিনেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না থাকার খরা কেটে যেতে পারে সামনের বছরেই। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়াতেই বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ‘‘আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ার খুব ভাল সম্ভাবনাই থাকছে কাপ জেতার কারণ গ্রীষ্মটা ওরা দারুণ ভাবে শুরু করেছে। আমাদের ক্রিকেটারেরা নিজেদের দেশের পরিবেশে, বড় মাঠে খেলতে মুখিয়ে থাকবে,’’ বলে দিচ্ছেন গিলি।
পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব চেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। মোট পাঁচ বার তারা বিশ্বজয়ী হয়েছে। কিন্তু ২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছ’বার আয়োজিত হলেও এক বারও তা জিততে পারেনি গিলক্রিস্টের দেশ। চলতি বছরে যদিও দারুণ ফর্ম দেখাচ্ছে অ্যারন ফিঞ্চের কুড়ি ওভারের অস্ট্রেলিয়া দল। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে তারা ২০১৯-এ এখন পর্যন্ত অপরাজিত। গিলক্রিস্ট যা দেখে আশাবাদী হয়ে উঠছেন, ‘‘আমরা এখন সকলকে পাচ্ছি। সব সময় সেরা দলটাকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়া।’’
ফেব্রুয়ারিতে ভারতে এসে ২-০ সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা এবং আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল পাকিস্তানকে হারায় তারা। বারো বছর ধরে তাঁর দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট তারকা হিসেবে খেলার পরে ২০০৮-এ অবসর নেন গিলক্রিস্ট। এ বার তাঁরও মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার হাতে সেরা দল হয়ে ওঠার গোলাবারুদ মজুত রয়েছে। ‘‘আমার মনে হয়, ওরা এখনও দুই স্পিনার ব্যবহার করবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। এক জন স্পিনার কমিয়ে মিচেল মার্শ বা মার্কাস স্টোইনিসের মতো অলরাউন্ডার নেওয়ার কথাও উঠছে,’’ মুম্বইয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ট্যুরিজমের একটি অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন গিলক্রিস্ট। অতিরিক্ত স্পিনার নিয়ে ভাবার যে যথেষ্ট কারণও আছে, সেটাও পরিষ্কার করে দেন তিনি। বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব জুড়ে সব চেয়ে সফল বোলারদের তালিকা যদি দেখেন, উপরের দিকে থাকা প্রত্যেকেই প্রায় স্পিনার। র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশের মধ্যে ন’জনই স্পিনার।’’ যোগ করেন, ‘‘অ্যাশটন আগার খুব ভাল করছে। স্পিনার নিয়ে ভাবার এখনও সময় ওরা পাবে। তবে বাকি দলে খুব বাল ভারসাম্য রয়েছে।’’
অধিনায়ক টিম পেনের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। গিলক্রিস্ট বলেছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটে সেরা উইকেটকিপারকেই বাছা উচিত। তাই প্রত্যেকের মতো টিমকেও জায়গা ধরে রাখার পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু যখন ওকে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল, যে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই দায়িত্ব ও ভাল ভাবে সামলেছে।’’