ঘরোয়া ক্রিকেটে নজির গড়লেন মিঠুন। ফাইল চিত্র।
এক ওভারে হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ উইকেট! শুক্রবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ইনিংসের শেষ ওভারে এমনই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটালেন কর্নাটকের পেসার অভিমন্যু মিঠুন।
হরিয়ানার ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম বলে হিমাংশু রানাকে ফেরান মিঠুন। রানার ক্যাচ ধরেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহুল টেয়াটিয়ার ক্যাচ ধরেন করুণ নায়ার। মিঠুনের হ্যাটট্রিক আসে সুমিত কুমারকে ফিরিয়ে। এ বার ক্যাচ ধরেন কদম। ওভারের চতুর্থ বলে অমিত মিশ্রকে নেন মিঠুন। ক্যাচ ধরেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। পরের বল ওয়াইড। তার পরের বলে আসে এক রান। ওভারের শেষ বলে জয়ন্ত যাদবকে ফেরান মিঠুন। ক্যাচ ধরেন লোকেশ রাহুল। অর্থাৎ, দুই রান দিয়ে সেই ওভারে পাঁচ উইকেট নেন মিঠুন। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৯৪ তোলে হরিয়ানা। জবাবে পাঁচ ওভার বাকি থাকতে দুই উইকেট খুইয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কর্নাটক (১৯৫-২)।
এর আগে রঞ্জি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন মিঠুন। এ বার করলেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। এই বছরই বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে কর্নাটকের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা তিন প্রতিযোগিতায় এর আগে কোনও বোলারের হ্যাটট্রিক ছিল না। মিঠুনই প্রথম এই নজির গড়লেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়ার ঘটনা এর আগে একবারই ঘটেছে। ২০১৩ সালে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার আল-আমিন হোসেন এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। মিঠুন হলেন দ্বিতীয় পেসার যিনি ২০ ওভারের ফরম্যাটে ওভারে পাঁচ উইকেট নিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ক্লাইভ লয়েড বা গ্রেগ চ্যাপেলদের সেই টেস্ট দলের সঙ্গে এক আসনে রাখতে হবে বিরাটদের’
আরও পড়ুন: কেমন স্কুপ শট মারলেন নিউজিল্যান্ডের নিল ব্রুম, দেখুন ভিডিয়ো
এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিল কপসন (ডার্বিশায়ার বনাম ওযারউইকশায়ার, ১৯৩৭), উইলিয়াম হেন্ডারসন (নর্দার্ন ট্র্যান্সভাল বনাম অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট ১৯৩৮), প্যাট পোকক (সারে বনাম সাসেক্স, ১৯৭২), ইয়াসের আরাফত (রাওয়ালপিণ্ডি বনাম ফয়সালাবাদ ২০০৪), নিল ওয়াগনার (ওটাগো বনাম ওয়েলিংটন, ২০১১) এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
৩০ বছর বয়সি দেশের হয়ে চার টেস্ট ও পাঁচ ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১০ সালে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১১ সালে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন তিনি।