লক্ষ্য: সেমিফাইনাল স্মরণীয় করতে চান অভিমন্যু। ফাইল চিত্র
দল ভাল খেলছে, অথচ তিনি রান পাচ্ছেন না। যা-ই করছেন, ফল হচ্ছে উল্টো। এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন। যদিও মেজাজ না হারিয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শনিবার চলতি মরসুমে রঞ্জি ট্রফির সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষায় বসতে চলেছেন অভিমন্যুরা। ইডেনের গতিময় পিচে তিনি ওপেন করবেন নাইট পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অভিমন্যু মিঠুনদের বিরুদ্ধে। এঁদের আগেও সামলেছেন ঈশ্বরন। তাই জানেন, প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী। উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা ফের ব্যর্থ হলে ম্যাচে ফেরা বেশ কঠিন। তা উপলব্ধি করেই আনন্দবাজারকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশা ম্যাচ শেষে অভিমন্যু বলেন, ‘‘কর্নাটকের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। এখনও দলকে একটি ম্যাচেও জেতাতে পারিনি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রান করেছিলাম। কিন্তু এমন সময় আউট হয়েছি, যেখান থেকে দল সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘কর্নাটকের বিরুদ্ধে এই ভুল করব না। ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলব। ইডেনে পিচ থেকেও সাহায্য পাবে প্রসিদ্ধরা। তা নজরে রাখতে হবে।’’
শেষ চারের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের খেলার সম্ভাবনা বাড়ছে। সিএবি-র প্রথম ডিভিশন লিগে দু’টি সেঞ্চুরি করে কোয়ার্টার ফাইনালে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। কিন্তু প্রথম একাদশে ছিলেন না। কর্নাটকের বিরুদ্ধে সুদীপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কোনও সুযোগ আছে? ঈশ্বরনের উত্তর, ‘‘দেখা যাক। ওড়িশার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে আমি, কৌশিক ও রামন কিছুটা রান পেয়েছি। কিছুটা মনোবল ফিরে পেয়েছি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে দেখি কী রকম দল সাজাতে পারি।’’
দলের অন্যতম পেসার আকাশ দীপের চোট সেরে গিয়েছে। শেষ চারের ম্যাচে কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডেদের সামলাতে তৈরি বাংলার পেস ত্রয়ী। কিন্তু কর্নাটক এমন একটি দল, যাদের কোনও দুর্বলতা নেই। যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বদলে দিতে পারেন শ্রেয়স গোপাল, দেবদূত পারিক্কালরা। তাই বৃহস্পতিবার বিপক্ষের ভিডিয়ো দেখেই অনুশীলনে নিজেদের তৈরি করে নেবে বাংলা। যদিও বঙ্গ অধিনায়ক সিএবি-র কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে আজ, বুধবার তিনি ইডেনে অনুশীলন করার সুযোগ পান। অভিমন্যুর কথায়, ‘‘নিজেকে তৈরি রাখব। কর্নাটকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো যায় না। তবে রাহুল, মণীশদের ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। খেলা হয় মাঠে। খাতায় কলমে বিপক্ষকে বাঘ ভাবার যুক্তি নেই।’’
অভিমন্যু চান, ইডেনে তাঁর দলকে সমর্থন করতে আসুন সমর্থকেরা। বলেন, ‘‘রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলব ঘরের মাঠে। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে একটাই অনুরোধ। আপনারা মাঠে আসুন। আপনার প্রিয় দলকে সমর্থন করুন। কথা দিলাম হতাশ করব না।’’ এ দিকে, মঙ্গলবার সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য একই দল ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচকেরা।