ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সেরা একাদশ। বেছে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর দলে নেই ক্রিস গেল, ডেভিড ওয়ার্নার, ডোয়েন ব্র্যাভো, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, লাসিথ মালিঙ্গা, শেন ওয়াটসনের মতো আইপিএলের মহারথীরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
ওপেনার হিসেবে রয়েছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে দীর্ঘ দিন আইপিএলে ওপেনিং করেছেন বীরু। পরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়েও ওপেন করেছেন। সহবাগ এমনিতেই বিস্ফোরক ওপেনার। মারমার কাটকাট ভঙ্গিতে এই ফরম্যাটে তিনি আরও বেশি কার্য়করী।
সহবাগের সঙ্গী রোহিত শর্মা। প্রথমে ডেকান চার্জার্সে ছিলেন। তার পর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছেন। তিনি মুম্বইয়ের হয়ে চার বার আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। এক দিনের ক্রিকেটে বড় বড় ইনিংসের জন্য বিখ্যাত হিটম্যান। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটেও তিনি সমান কার্যকরী।
তিনে বিরাট কোহালি। যাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। বলেছেন, “বিরাটের ১৫ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকা জরুরি।” বিরাটের সঙ্গে তাঁর জুটিও আইপিএলে সুপারহিট। অন্য ফরম্যাটের মতো আইপিএলেও কোহালি মানেই ধারাবাহিকতা।
চারে নিজেকেই রেখেছেন ডি ভিলিয়ার্স। শুরু থেকেই বোলারদের চাপে ফেলা তাঁর বৈশিষ্ট। উইকেটের চার দিকেই শট নিতে পারেন। তিনি ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। বুঝিয়ে দিতে চান যে পাঁচ ওভারও ব্যাট করলে বিপক্ষ চাপে পড়ে যাবে। ম্যাচের গতি মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে দিতে পারেন তিনি।
পাঁচে বেন স্টোকসকে রেখেছেন তিনি। চার জন ডানহাতির পর ইনি বাঁহাতি। অলরাউন্ডার স্টোকস বড় শট নিতে পারেন। দলকে টানতে পারেন কঠিন পরিস্থিতিতে। পাশাপাশি, বল হাতেও তিনি নির্ভরযোগ্য। চাপের মুখে তাঁর উপর ভরসা রাখাই যায়। ইনি দলের দ্বিতীয় বিদেশি।
ছয়ে বিশ্বের সেরা ফিনিশার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই দলের অধিনায়ক। উইকেটকিপার, ফিনিশার ও ক্যাপ্টেন, থ্রি-ডি ক্রিকেটার তিনি। কোহালি এবং রোহিতের উপস্থিতি সত্ত্বেও নেতৃত্বে ধোনির উপরই ভরসা রেখেছেন ডি’ভিলিয়ার্স। আইপিএল তিন বার জিতেছেন ধোনি। সেটাও একটা বড় কারণ।
সাতে রবীন্দ্র জাডেজা। যিনি আইপিএলের দুনিয়ায় ‘স্যর’ নামেই পরিচিত। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি পরিচিত। পাশাপাশি, বাঁহাতি স্পিনেও সমান কার্যকরী। রান না দিয়ে উইকেট-টু-উইকেট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে তিনি সিদ্ধহস্ত। সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডিং তো আছেই।
এর পর রশিদ খান। লেগস্পিনের ভেলকিতে আইপিএলেই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। হাতে গুগলি-ফ্লিপারের বৈচিত্রও রয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে ডেথ ওভারে বড় শট নিতে পারেন। তিনি দলের তৃতীয় বিদেশি।
ভুবনেশ্বর কুমার আছেন পেস বোলিংয়ের দায়িত্বে। সুইংয়ের পাশাপাশি গতির হেরফেরে তিনি বিপজ্জনক। হাতে রয়েছে নাকল বল। ডেথ ওভারে ভুবিকে মারা খুব কঠিন। আর ব্যাট হাতেও তিনি কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে নির্ভরতা দিতে পারেন।
কাগিসো রাবাদা হলেন দলের চতুর্থ বিদেশি। প্রোটিয়া এই পেসার বিশ্বের সেরা পেসারদের মধ্যে পড়েন। দ্রুত গতিতে বল করেন। হাতে রয়েছে বাউন্সার। বিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে তাঁর মতো পেসার যে কোনও দলের সম্পদ।
দলের তৃতীয় পেসার হলেন জশপ্রীত বুমরা। তবে, কার্যত, তিনিই দলের এক নম্বর বোলার। শুরুতে ও শেষে, দুই ভাবে ব্যবহার করা যায় তাঁকে। বুমরার ইয়র্কার ব্যাটসম্যানদের কাছে হয়ে উঠেছে আতঙ্ক। ডেথ ওভারে তাঁকে মারা প্রায় অসম্ভব।