ঘরের মাঠে টানা ১১ টেস্ট সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এই সময়ে ৩২ টেস্টের মধ্যে জয় এসেছে ২৬টিতে, হার মাত্র একটিতে। বিরাট কোহালির দল এর মধ্যেই এশিয়ার অন্যতম সেরা টেস্ট দল হিসাবে চিহ্নিত। এই দলকে কারা হারাতে পারে, তা নিয়ে ক্রিকেটমহলে এখন চলছে চর্চা। আমরা বানালাম এক বিশ্ব একাদশ, যাঁরা ঘরের মাঠে কোহালিদের কড়া চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে। দেখে নিন সেই দলে কারা জায়গা পেলেন।
ডিন এলগার: ৫৯ টেস্টে ৩৬৪৪ রান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি ওপেনার। গড় ৩৯.১৮। রয়েছে ১২ সেঞ্চুরি, ১৩ হাফ-সেঞ্চুরি। সদ্য ভারতে এসে বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম টেস্টে লড়াকু সেঞ্চুরিও করেছেন। তিনি আমাদের দলের ওপেনার।
দিমুথ করুণারত্নে: শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি ওপেনার এই মুহূর্তে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানদের অন্যতম। ২০১৭ সালের গোড়া থেকে ধরলে টেস্টে তাঁর গড় ৪০.৭৫। উপমহাদেশে সারা জীবন খেলেছেন তিনি। ফলে, ভারতের মাটিতে তাঁর রান পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কেন উইলিয়ামসন: ২০১৭ সালের শুরু থেকে ধরলে এশিয়ার মাটিতে দুর্দান্ত রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের। গড় ৫১.২৫। ফলে ভারতে তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনাও বেশি। এশিয়াতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তিন নম্বরে নামার পাশাপাশি তাই আমাদের দলের অধিনায়কও তিনি।
স্টিভ স্মিথ: এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। ভারত যে ১১ টেস্ট সিরিজে জিতেছে, তার মধ্যে হেরেছে মাত্র একটিই টেস্ট। পুণেতে ২০১৭ সালে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নেপথ্যে ছিল স্মিথের শতরান। তা ছাড়া, ভারতের বিরুদ্ধে বরাবর তিনি ধারাবাহিক থেকেছেন।
জো রুট: ইংল্যান্ড অধিনায়ক হালফিল তেমন ছন্দে নেই। তা সত্ত্বেও এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। এশিয়ায় তাঁর টেস্ট গড় ৪৬.০৭। ভারতে সেটা আরও ভাল, ৫৩.০৯। নাগপুরে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। পাঁচ নম্বরে তিনিই নামবেন।
শাকিব আল হাসান: এশিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হলেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানও তিনি। ভারতে এখনও পর্যন্ত টেস্টে দুটো ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাতে গড় ৫২। পাশাপাশি, তাঁর বাঁ-হাতি স্পিনও কার্যকরী। ছয় নম্বরে নামার পাশাপাশি দলের দ্বিতীয় স্পিনারও শাকিব।
মুশফিকুর রহিম: শুধু উইকেটরক্ষকই নন, মুশফিকুর নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানও। ৬৭ টেস্টে ৩৪.৭৩ গড়ে ৪০২৯ রান রয়েছে তাঁর। ছয়টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরি। ক্যাচ নিয়েছেন ১০৩টি। স্টাম্পিং করেছেন ১৫টি। বাংলাদেশের ক্রিকেটার হওয়ায় ভারতীয় কন্ডিশনের সঙ্গেও পরিচিত।
প্যাট কামিন্স: টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর বোলার হলেন অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স। গত কয়েক বছর ধরে রীতিমতো ধারাবাহিক তিনি। ভারতে এখনও পর্যন্ত দুই টেস্ট খেলে আট উইকেট নিয়েছেন ডান হাতি পেসার। ব্যাটের হাতও মন্দ নয় তাঁর।
মিচেল স্টার্ক: অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার এই সময়ের সেরা পেসারদের অন্যতম। ৫২ টেস্টে তিনি ২১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ১১ বার। দশ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। ২৯ বছর বয়সির যেমন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সুইংয়ে, তেমনই আছে পিচ থেকে বাউন্স আদায়ের ক্ষমতা।
জোফ্রা আর্চার: গত অগস্টে টেস্ট অভিষেক হয়েছে জোফ্রা আর্চারের। আর অ্যাশেজে টেস্ট অভিষেকেই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। অ্যাশেজে চার টেস্টে নিয়েছেন ২২ উইকেট। যার মধ্যে পাঁচ উইকেট রয়েছে দু’বার। বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে আকর্ষণীয় তরুণ অলরাউন্ডারদের তালিকায় উপরেই রয়েছেন তিনি।
নেথান লিয়ন: এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা স্পিনারদের অন্যতম তিনি। সব কন্ডিশনেই উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ভারতে সাত টেস্টে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর স্পিনার তিনিই। দু’বছর আগে পুণেতেও লিয়নের বড় ভূমিকা ছিল ভারতের হারে।
ইয়াসির শাহ (দ্বাদশ ব্যক্তি): পাকিস্তানের লেগস্পিনারের এশিয়ার মাটিতে খেলার লম্বা অভিজ্ঞতা রয়েছে। লেগস্পিনার মানেই বৈচিত্র। আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রয়োজন পড়লে একজন রিস্ট স্পিনার যে কোনও দলের কাছেই মহার্ঘ।