মাঠে সাপ। রঞ্জি ট্রফির শুরুর দিনেই কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকল খেলা। ছবি— বিসিসিআই-এর পোস্ট থেকে।
কত কারণেই তো ক্রিকেট মাঠে বন্ধ থাকে খেলা! কখনও মাঠে ঢুকে পড়েন অতি-উৎসাহী সমর্থক। আবার কখনও মৌমাছির দাপটে খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন আম্পায়ার। মন্দ আলো বা বৃষ্টির জন্য তো প্রায়ই খেলা বন্ধ হয়।
আজ, সোমবার রঞ্জি ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বিজয়ওয়াড়ার মাঠে ঢুকে পড়ল আস্ত একটা সাপ। আপন খেয়ালে সেই সরীসৃপ মাঠের ভিতরে এদিক-ওদিক ঘুরে বেরাল। সাপের আতঙ্কে দু’ দলের ক্রিকেটাররা হয়ে পড়েন ভীতসন্ত্রস্ত। খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। সাপটাকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে ফের শুরু হয় খেলা।
বিদর্ভের অধিনায়ক ফৈজ ফয়জল টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। হনুমা বিহারীর নেতৃত্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ ব্যাট করতে নামার পরেই তাল কাটে। ক্রিকেটাররা আবিষ্কার করেন মাঠের ভিতরে এঁকেবেঁকে হেঁটে চলেছে একটা সাপ। কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। আতঙ্ক নিয়ে কি আর ক্রিকেট খেলা যায়!
সাপের-আতঙ্কে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে খেলা। বিদর্ভের উইকেট কিপারকে মুখে হাত দিয়ে চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাপ তাড়ানোর জন্য মাঠের ভিতরে চলে আসেন একাধিক মাঠকর্মী। সাপটাকে মাঠ থেকে সরানোর পরে শুরু হয় খেলা।
এর আগেও রঞ্জি ট্রফির খেলা মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বছর দুয়েক আগে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের ম্যাচ চলাকালীন পালাম এয়ার ফোর্সের মাঠে ঢুকে পড়েছিল একটা গাড়ি। তার জন্য কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। সেই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গৌতম গম্ভীর, ঋষভ পন্থরা। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে। দু’ বছর পরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি এতটুকু। রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই সর্পাতঙ্কে বন্ধ থাকল খেলা।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের যে কোনও মাঠে ছয় মারার ক্ষমতা ধরি’