২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিং পরামর্শদাতা ছিলেন রাহুল। ফাইল চিত্র
তরুণদের সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম বার ভারতের সিনিয়র দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন রাহুল দ্রাবিড়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুলাই মাসে শিখর ধওয়ন, হার্দিক পাণ্ড্যদের সঙ্গে ভারতের দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে শ্রীলঙ্কা উড়ে যাবেন ‘দ্য ওয়াল’। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালক রাহুল এর আগেও সিনিয়র দলের সঙ্গে থেকেছেন। তবে সেটা কম সময়ের জন্য। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহলী, অজিঙ্ক রহাণেদের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে মুখ্য প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর অনূর্ধ্ব-১৯ ও ভারত এ দল নিয়ে ‘গুরুকুল’ গড়ে তুলেছেন। তাঁর সৌজন্যে ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, শুভমন গিল, ঈশান কিশনের মতো একাধিক ক্রিকেটার পেয়েছে ভারত। তাই বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পুরনো সতীর্থের প্রতি আস্থা রেখেছেন। প্রশিক্ষক হিসেবে ইতিমধ্যেই সাফল্য ও সুনাম অর্জন করেছেন রাহুল। এ বার একনজরে সেই সাফল্যের দিকে চোখে বুলিয়ে নেওয়া যাক।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (রানার্স): ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার জন্য ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ও ভারত এ দলের দায়িত্ব নিয়ছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণে ও ঈশান কিশনের অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ করেছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় ঈশান কিশনের দল।
ভারত এ দলের দায়িত্ব পালন: বিরাট কোহলীর দলের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সেতুবন্ধন করাই হল রাহুলের কাজ। আর সেই কাজ তিনি ছয় বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন। দেশে ও বিদেশে ভারত এ দলের দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রেয়স আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিজের হাতে গড়া থেকে হনুমা বিহারীর ব্যাটিংয়ে উন্নতি, সব কাজে রাহুলের নিরলস প্রচেষ্টা বজায় রয়েছে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (জয়ী): ২০১৬ সালে খালি হাতে ফিরলেও ২০১৮ সালে পৃথ্বী শ-র অধিনায়কত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দি পাকিস্তানকে সেমি ফাইনালে হারানোর পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেন ইশান পোড়েল, কমলেশ নগরকোটিরা। সেই বিশ্বকাপেই শুভমন গিলের আবির্ভাব ঘটেছিল।