ফাইল চিত্র।
ইউরো ফাইনালে ইটালির বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের হারের পরে গণমাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন বুকায়ো সাকা, মার্কাস র্যাশফোর্ড, জাডন স্যাঞ্চো। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার চার জনকে গ্রেফতার করল ইংল্যান্ডের পুলিশ। চার জনই গণমাধ্যমে স্যাঞ্চোদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করেছিল বলে অভিযোগ।
ইটালির বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন সাকা, র্যাশফোর্ড ও স্যাঞ্চো। এর পরেই ইংল্যান্ডের এই তিন ফুটবলারের ত্বকের রং নিয়ে গণমাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দুনিয়া। কিংবদন্তি অ্যাথলিট ইউসেইন বোল্ট থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, সকলেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইংল্যান্ড সমর্থকদের একাংশের এই আচরণের। উয়েফার তরফেও তদন্ত শুরু করা হয়। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছিলেন, “স্যাঞ্চো, সাকা ও র্যাশফোর্ডের উদ্দেশে যারা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে, তারা ক্ষমার অযোগ্য।”
বৃহস্পতিবার চার জনকে গ্রেফতারের পরে পুলিশের প্রধান কনস্টেবল মার্ক রবার্টস বলেছেন, “বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার ঘটনা জঘন্য।” তিনি যোগ করেছেন, “যদি প্রমাণিত হয় গ্রেফতার হওয়া চার জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তা হলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।” ব্রিটিশ পুলিশের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, “ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ ও অশ্বেতকায় তিন ফুটবলার গণমাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। তদন্তে পুলিশ এই ধরনের ঘটনার একাধিক প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।”
ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষ রুখতে কড়া (জ়িরো টলারেন্স) নীতি নিয়েছে ফিফা। হ্যারি কেন-রা ইউরোয় সব ম্যাচেই খেলা শুরু হওয়ার আগে মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বর্ণবিদ্বেষের। তা নিয়েও ইংল্যান্ডের সমর্থকদের একাংশ কটুক্তি করেছে। ক্ষু্ব্ধ মার্ক সেই উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, “ইউরোয় বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্ত গড়েছে ইংল্যান্ড দল। কিন্তু সমর্থকদের একাংশের এই আচরণ একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”