Sports Authority of India

পাটিয়ালা সাই ও বেঙ্গালুরুতে ৩০ আক্রান্ত করোনায়

এই মুহূর্তে ভারতে বিভিন্ন শহরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। খেলার জগতেও ফের থাবা বসিয়েছে ভাইরাস।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। খেলার মাঠও ভাইরাসের রোষ থেকে বাঁচছে না। উদ্বেগ বাড়িয়ে সাইয়ে অনুশীলনরত ৩০জন খেলোয়াড়ের করোনা পরীক্ষার ফল ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। পাটিয়ালা এবং বেঙ্গালুরুতে অনুশীলনরত ছিলেন তাঁরা। তবে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া কেউ এই তালিকায় নেই বলে সাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

Advertisement

সতর্কতার জন্য মোট ৭৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের পুরুষদের বক্সিং কোচ সি এ কুটাপ্পা এবং শটপাট কোচ মোহিন্দর সিংহের করোনা ধরা পড়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর। সাই থেকে এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, পাটিয়ালায় ৩১৩ জন এবং বেঙ্গালুরুতে ৪২৮ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। পাটিয়ালায় ২৬ জনের ফল ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা চার। সাইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অলিম্পিক্সে যারা যাবে, তাদের সুরক্ষার কথা ভেবে এই দুই কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, টোকিয়ো যাত্রীদের কেউ করোনায় আক্রান্ত নন।’’ জানা গিয়েছে, পাটিয়ালায় আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জন খেলোয়াড়। বাকিরা কোচ বা বিশেষজ্ঞ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন বক্সার, ছ’জন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট। বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তদের মধ্যে এক জন কোচ আছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই মুহূর্তে ভারতে বিভিন্ন শহরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। খেলার জগতেও ফের থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। মহিলা ক্রিকেটার হরমনপ্রীত কৌরের করোনা ধরা পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, ইউসুফ পাঠানরা। শুটিংয়ে করোনা হানা দিয়েছে। তার মধ্যে সাইয়ের দুই কেন্দ্রে এত বেশি সংখ্যক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সাইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি এর ফলে ব্যহত হবে না। তারা বলেছে, ‘‘ট্রেনিং বন্ধ করে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। যাদের করোনা ধরা পড়েছে, তাদের ইতিমধ্যেই আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে তাদের। আক্রান্তদের নিয়েও খুব চিন্তার কিছু নেই। ওরা ভালই আছে।’’ পাটিয়ালা নিয়েই বেশি চিন্তা থাকবে কারণ সেখানেই অলিম্পিক্সে অংশ নিতে যাওয়া বক্সার, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ও অন্য বিভাগের অ্যাথলিটরা প্রস্তুতি নেন। একটি সূত্রে জানিয়েছে, আরও পরীক্ষার ফল আসা বাকি। করোনা অতিমারির জন্য আগের বছর থেকে পিছিয়ে এ বছরের জুলাই-অগস্টে হবে টোকিয়ো অলিম্পিক্স। তার আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া চিন্তায় রাখবে ভারতীয় অংশগ্রহণকারীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement