প্রতীকী ছবি।
চিনে করোনাভাইরাস যে ভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে গভীর ভাবে উৎকণ্ঠিত টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সংগঠকেরা। অলিম্পিক্স শুরু হবে মাস ছয়েক পরে। টোকিয়োয় তাই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় অস্বাভাবিকতা নেই।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তোশিরো মুতো প্যারালিম্পিক্স কমিটির এক সভায় বলেছেন, ‘‘চিনে সংক্রামক ভাইরাসের বিস্তারে আমি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এই ভাইরাস গেমসের ছন্দপতন ঘটাতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আশা করি যত দ্রুত সম্ভব এই ভাইরাসকে নির্মূল করা যাবে।’’
সভায় ছিলেন অলিম্পিক্স অ্যাথলেটিক্স ভিলেজের মেয়র সাবুরো কাওয়াবুচিও। গেমসের সময় সেখানে প্রায় ১১ হাজার অ্যাথলিটের ভিলেজে থাকার কথা। মেয়রের মন্তব্য, ‘‘এখন আমাদের একটাই প্রার্থনা। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষ জয়ী হোক। একমাত্র সেটা হলেই প্যারালিম্পিক্স ও অলিম্পিক্স সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করতে পারব।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘ভাইরাস নির্মূল না হলে একটাই লক্ষ্য থাকবে। যে কোনও ভাবে গেমসের অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদ রাখা। যাতে সবাই নিশ্চিন্তে গেমসে অংশ নিতে পারে।’’
গেমসের সংগঠকেরা অবশ্য বারবার বলছেন, কোন ভাবেই তাঁরা অলিম্পিক্স বাতিল করবেন না। কিন্তু মারণ-ভাইরাসের সৌজন্যে এখনই নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য চিনে যে যে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল তার সবই প্রায় বাতিল হয়েছে। জাপানে অবশ্য এখনও কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ চিনে বুধবারই মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৯০-এ।
টোকিয়োর সংগঠক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তোশিয়াকি এনদো বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে জাপানে আমরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। তার মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ যেমন আছে, তেমনই আছে সাইবার নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত জটিলতা। তবে অলিম্পিক্সের জন্য আমরা যে ভাবে তৈরি হয়েছি তা দেখে সন্তুষ্ট আইওসি।’’ অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে আশ্বস্ত করতে প্যারালিম্পিক্স কমিটির মুখপাত্র ক্রেগ স্পেন্সের মন্তব্য, ‘‘আমরা নিশ্চিত যে, জাপানের স্থানীয় প্রশাসন ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অ্যাথলিটদের নিরাপদ রাখার সব ব্যবস্থা করবে।’’
গত সোমবার জাপানের সংসদে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনো আবে অবশ্য করোনাভাইরাসের প্রভাব অলিম্পিক্সে পড়ার সব সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে টোকিয়োর অন্যতম প্রশাসনিক কর্তা ইউরকি কোহেই মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমাদের কঠোর হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। না হলে কিন্তু আফসোস ছাড়া অন্য কিছু করার থাকবে না।’’