সচিন তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই।
বল হাতে তখন উল্টো প্রান্ত থেকে দৌড়ে আসছিলেন সাকিব আল হাসান। পিন পড়লেও শব্দ শোনা যেত শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। থেমে গিয়েছিল হাওয়াও। ৯৯ রানে দাড়িয়ে যে সচিন তেন্ডুলকর। আর একটা রান। তা হলেই সেই রেকর্ড। সাকিবের বলে একটা ছোট্ট টোকা আর এক রান। ইতিহাস লেখা হল ঢাকার মাটিতে।
২০১২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সে দিনের সেই সময়টা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে লেখা রয়েছে স্বর্ণাক্ষরে। থেমে গিয়েছে সময়। বিকেল পাঁচটা পাঁচে। একটা দীর্ঘ অপেক্ষা। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির জন্য। আর সেটা গিয়ে সম্পূর্ণ হল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটাই ছিল তার প্রথম সেঞ্চুরি।
এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে ১৩৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন। তার মধ্যে ছিল ১০টি বাউন্ডারি ও ছ’টি ওভার বাউন্ডারি। সেই মাইলস্টোনে পৌঁছে সচিন বলেছিলেন, ‘‘সেই সময় আমি কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। কঠিন সময় ছিল। মরসুম ভাল শুরু করেও কিছু করতে পারছিলাম না। যদিও কটা সেঞ্চুরি করলাম সেটা বড় বিষয় নয়।’’
আরও পড়ুন
এ বার যা হবে কোর্টে, বলছেন শামি
সে দিন ১১৪ রানে আউট হয়েছিলেন সচিন। যদিও ভারত সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল পাঁচ উইকেটে। সচিন ৯৯তম সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০১১ সালের ১২ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নাগপুরে। এক বছর সেখানেই আটকে ছিলেন সচিন। ১০০তম সেঞ্চুরিটি করার পর সচিন বলেছিলেন, ‘‘আমি যখন ৯৯তম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলাম তখন তা নিয়ে কেউ কথা বলেনি। আমার মনে হয় সংবাদ মাধ্যমই এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। যেখানেই গিয়েছি মানুষ আমাকে ১০০ সেঞ্চুরির কথা বলেছে।’’