IPL Auction

কেকেআর, সিএসকে… প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের দলে নিতে আইপিএল নিলামে যুদ্ধ বেধে যেত

আইপিএলের যাত্রা শুরু হয়েছে এক যুগ আগে। ফলে, তার আগের প্রজন্মের ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পাননি এই টি-টোয়েন্টি লিগে। অথচ, আশি বা নব্বইয়ের দশকে জাতীয় দলে খেলা অনেক ক্রিকেটারই পারতেন এই ঘরানায় জ্বলে উঠতে। ফলে, তাঁদেরকে নিয়ে নিলামেও অবধারিত বাড়ত উত্তেজনা। বেছে নেওয়া হল এমনই ১০ ভারতীয় ক্রিকেটারকে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ১০:০০
Share:
০১ ১১

আইপিএলের যাত্রা শুরু হয়েছে এক যুগ আগে। ফলে, তার আগের প্রজন্মের ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পাননি এই টি-টোয়েন্টি লিগে। অথচ, আশি বা নব্বইয়ের দশকে জাতীয় দলে খেলা অনেক ক্রিকেটারই পারতেন এই ঘরানায় জ্বলে উঠতে। ফলে, তাঁদেরকে নিয়ে নিলামেও অবধারিত বাড়ত উত্তেজনা। বেছে নেওয়া হল এমনই ১০ ভারতীয় ক্রিকেটারকে।

০২ ১১

কপিল দেব যেমন ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার। দেশের সেরা সুইং বোলার। ব্যাট হাতেও বড় শট নিতে ওস্তাদ। নিশ্চিত ভাবেই কপিলকে দলে নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে। আর তাঁকে নিতে চড়তই দাম। কারণ, কপিলের জন্য কোনও অঙ্কই যে যথেষ্ট নয়।

Advertisement
০৩ ১১

ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত আবার সময়ের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে। আক্রমণাত্মক ওপেনার পরিচিত ছিলেন মারমার কাটকাট মেজাজের জন্য। আশির দশকে একশো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতেন তিনি। তামিলনাডুর ‘চিকা’র জন্য নিশ্চিত ভাবেই ঝাঁপাত চেন্নাই সুপার কিংস।

০৪ ১১

আইপিএলে সাফল্য পেতেই পারতেন বিনোদ কাম্বলি। প্রতিভা তো ছিলই, হাবে-ভাবে, চাল-চলনে আইপিএল যুগেরই এক জন ছিলেন এই বাঁ-হাতি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ছিলেন বিধ্বংসী। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সচিনের সঙ্গে কাম্বলি একসঙ্গে ঝড় তুললে বিপক্ষের অবস্থা শোচনীয় দেখাত।

০৫ ১১

মহম্মদ আজহারউদ্দিন এক দিনের ক্রিকেটে ছিলেন দুর্দান্ত সফল। মাঝের ওভারগুলোয় ফিল্ডিংয়ের ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখা, প্রয়োজনে বড় শট নেওয়ায় ছিলেন ওস্তাদ। আর ছিল দুর্দান্ত ফিল্ডিং। প্রত্যেক ম্যাচে বাঁচাতেন ১০-১৫ রান। হায়দরাবাদ তো বটেই, ইডেনের বরপুত্রের জন্য হয়ত ঝাঁপাত কলকাতাও।

০৬ ১১

অজয় জাডেজা ছিলেন বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটসম্যান। পরিস্থিতি অনুসারে ইনিংসের গতি বাড়াতেন-কমাতেন। পাঁচ বা ছয় নম্বরে নেমে ম্যাচ শেষ করে আসার ক্ষমতা ছিল তাঁর। আজহারের মতোই খুচরো রান নিতেন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে। ছিলেন অসাধারণ ফিল্ডারও। মিডিয়াম পেসে কয়েক ওভার হাত ঘোরাতেও পারতেন। তাঁকে নিয়ে নিলামে আগ্রহ থাকতই।

০৭ ১১

মনোজ প্রভাকর ছিলেন ডেথ ওভারে মারাত্মক কার্যকরী। হাতে ছিল দুর্দান্ত স্লোয়ার ডেলিভারি। যার প্রয়োগ করতেন কৌশলের সঙ্গে। নতুন বলে সুইংও করাতেন। আবার, বড় শট না মারলেও ভরসা করার মতো ব্যাটসম্যান ছিলেন। এমন অলরাউন্ডার প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই সম্পদের মতো।

০৮ ১১

রবিন সিংহও অলরাউন্ডার। বড় শট মারতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। চাপের মুহূর্তে ব্যাট হাতে উজাড় করে দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল। এর সঙ্গে মিডিয়াম পেস করতেন নিখুঁত নিশানায়। রান আটকে রাখতেন। আর ছিলেন দুরন্ত ফিল্ডার। আইপিএলে সফল হতেই পারতেন তিনি।

০৯ ১১

রবি শাস্ত্রী এক সময় ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ফলে, আইপিএলেও তিনি যে বড় শট নিতে পারতেন, তা নিয়ে সংশয়ের জায়গা নেই। যে কোনও জায়গায় তিনি ব্যাট করতে পারতেন। বাঁ-হাতি স্পিনে রান আটকানোর ক্ষমতাও ছিল তাঁর। চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন্স হয়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবেই তাঁকে ভাবতে পারত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।

১০ ১১

মনিন্দর সিংহ ছিলেন আক্রমণাত্মক স্পিনার। ফ্লাইট, লুপ ছিল মারাত্মক। ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানোয় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। মানসিক ভাবেও ছিলেন আগ্রাসী। বাঁ-হাতি স্পিনারের যা প্রতিভা ছিল, তাতে আইপিএলেও নিশ্চিত ভাবে সাড়া ফেলতেন। সর্দারজির জন্য আগ্রহ দেখাতে পারত কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।

১১ ১১

জাভাগল শ্রীনাথ সম্পর্কে সদ্য শন পোলক বলেছেন যে, তিনি যথাযথ মর্যাদা পাননি। কথাটা একেবারে ভুল নয়। সেই সময় ভারতের দ্রুততম পেসার ছিলেন তিনি। গতি, বাউন্সে ব্যাটসম্যানের সমস্যা বাড়াতেন তিনি। কর্নাটকির জন্য নিলামে ঝাঁপাতেই পারত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement