আপনার বস কি অকারণে আপনাকে নিজের কেবিনে ডাকেন? কথায় কথায় গায়ে হাত দেওয়ার ছুতো খোঁজেন? কেরিয়ারে ক্ষতির ভয়, সঙ্কোচে আপনি কিছুই করে উঠতে পারেন না। প্রতিবাদ করতে হলে কিন্তু নম্র ভাবে, ভদ্রতা থেকে এক চুলও না সরেও করা যায়। সব সময় মুখে বলতে হবে তারও কোনও মানে নেই। জেনে নিন কীভাবে এমন পরিস্থিতি সামলাবেন।
১। তাকানো দিয়ে বোঝান- অনেক সময় বসকে মুখে বিশেষ কিছু বলা যায় না। তবে আপনার বডি ল্যাঙ্গোয়েজ দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু বোঝানো যায়। চোখের চাহনি দিয়ে বসকে বোঝান আপনি মোটেও এটা পছন্দ করছেন না। তবে একদম ভস্ম করে দেওয়ার মতো করে তাকাবেন না। এতে আপনিই বিপদে পড়বেন।
২। কাঁধ ঝাকান- বস গায়ে হাত দিলে হালকা কাঁধ ঝাঁকান বা আপত্তিসূচক কোনও শারীরিক ভঙ্গি দিয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি পছন্দ করছেন না।
৩। সরে বসুন- শারীরিক দূরত্ব বাড়ান। একটু দূরে সরে যান। দেখবেন বস নিজেই আপনাকে সরি বলবেন।
৪। উঠে দাঁড়ান- হঠাত্ বসা থেকে উঠে দাঁড়ানো কিন্তু প্রতিবাদসূচক ভঙ্গি। আপনি যদি এক ঝটকায় উঠে পড়েন বস কিছুটা চমকে যাবেন। ওনার অপরাধী মনে সঙ্কেত পৌঁছবে আপনি অভিযোগ জানাতে পারেন। এতে অবশ্যই কাজ হবে।
৫। দূরত্ব বজায় রাখুন- বস যখন কেবিনে ডাকবেন তখন নিজে থেকেই দূরত্ব বজায় রাখুন। টেবিলের উল্টো দিকে বসুন। কোনও ছুতোয় কিছু দেখাতে কাছে ডাকলেও ল্যাপটপ ঘুরিয়ে নিন নিজের দিকে। অথবা ওনার দিকে ঘুরিয়ে দিন। আপনি কয়েকবার এমন করলে উনি বুঝে যাবেন।
৬। কৌশলে ভয় দেখান- বসের সামনেই অন্য সহকর্মীদের শোনান আগের অফিসে আপনি কীভাবে ছুকছুকে বসকে টাইট দিয়েছিলেন। বানিয়ে বানিয়েই গল্প করুন। তবে রেগে রেগে নয়। মজার ছলে। যাঁর বোঝার তিনি ঠিক বুঝে যাবেন।
৭। সরাসরি বলুন- যদি কোনও কিছুতে কাজ না হয় তবে সরাসরি বলুন যে আপনি এটা পছন্দ করছেন না। তবে রাগ দেখিয়ে নয়। শান্ত ভাবে নিজের ব্যক্তিত্ব, ভদ্রতা বজায় রেখে।
৮। গাম্ভীর্য- বসের সামনে গম্ভীর থাকুন। কাজের বাইরে ওনার হাসি ঠাট্টায় বিশেষ আমোল দেবেন না। আপনার ব্যক্তবত্ব ওনাকে বাধা দেবে।