সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন নিয়ে সংগ্রহশালা। —ফাইল ছবি
সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা তৈরি হচ্ছে হরিয়ানায়। সেখানকার হিসার জেলার রাখিগড়ী গ্রামে এই সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল থেকেই এই গ্রাম ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে আসছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাখিগড়ী। সেখানে সিন্ধু সভ্যতা তথা হরপ্পা সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা গড়ে তোলার কাজ চলছে। রবিবারই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। গ্রামে খননকার্য দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, নতুন এই সংগ্রহশালায় সিন্ধু আমলের নানা খুঁটিনাটি নিদর্শন রাখা হবে। পাঁচ হাজার বছরের পুরনো জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে সংগ্রহশালাটি। খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ অব্দ থেকে ১৯০০ অব্দ পর্যন্ত সিন্ধু উপত্যকায় রাখিগড়ী গ্রামে জনবসতির অস্তিত্ব ছিল। নদী উপত্যকায় গড়ে ওঠা অন্যতম বৃহৎ বসতি ছিল এখানেই। গ্রামটি তাই ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে রাখিগড়ীতে এখনও খননকার্য পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ পর্যন্ত গ্রামটির মাত্র পাঁচ শতাংশ খোঁড়া হয়েছে। রাখিগড়ীর মাটি খুঁড়ে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর। একই সঙ্গে, গ্রামের কোনও বাসিন্দার কাছে যদি পুরনো সভ্যতার কোনও নিদর্শন থাকে, তাও তালিকাভুক্ত করতে বলেছেন তিনি।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র আধিকারিকরা রাখিগড়ীতে খননকার্য প্রথম শুরু করেন ১৯৬৩ সালে। তার পর থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫৬টি নরকঙ্কাল এখানে পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে দু’টি নারীর কঙ্কাল অন্তত সাত হাজার বছরের পুরনো বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এই কঙ্কাল দু’টির হাত-পায়ে অনেক গয়নাগাঁটি, তামার দ্রব্য, দামি পাথর ও সেই সঙ্গে একটি আয়না পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।