সুরা-মল তৈরির প্রস্তাব আবগারি দফতর বিবেচনা করছে। প্রতীকী ছবি।
এই দেশের হুইস্কি ভাল, ওই দেশের রাম। এ সব আর ভাবতে হবে না। দেশবিদেশের সব ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যাবে এক ছাদের তলায়।
সব পরিকল্পনা মতো চললে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়েই এমন ঠিকানা পেয়ে যাবে কলকাতা। শহরের নিজস্ব সুরা-মল। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার এক সুরা ব্যবসায়ী প্রস্তাব দেওয়ার পরে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। সেই আলোচনা ‘ইতিবাচক’ বলেও জানা গিয়েছে। কবে, কোথায় সেই সুরা-মল তৈরি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে সেটা দক্ষিণ কলকাতারই কোথাও হবে বলে প্রস্তাব এসেছে।কলকাতায় আগে পোশাক বা বৈদ্যুতিন সামগ্রীর আলাদা মল হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাব কার্যকর হলে এটাই হবে রাজ্য তথা পূর্ব ভারতের প্রথম সুরা-মল।
দেশ বিদেশের সুরা মিলবে এক ছাদের তলায়। প্রতীকী ছবি।
তবে ভারতে এমন মল নতুন নয়। মুম্বইতে তো আছেই, এমনকি, এশিয়ার বৃহত্তম সুরা-মলটি রয়েছে ভারতেই। বেঙ্গালুরুর সেই মলের নাম ‘টনিক’। অনেকটা সেই আদলেই কলকাতায় একটি বহুতল মল তৈরি করার ভাবনা রয়েছে। আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শুধু ভারতীয় মদই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামী-দামি ব্র্যান্ডের আলাদা আলাদা বিপণি থাকবে। অস্ট্রেলিয়া হোক বা আর্জেন্টিনা, ইটালি হোক বা তুরস্ক— সব দেশের সুরা মিলবে সেখানে। পাওয়া যাবে সুরারসিকদের খুব পছন্দের ফরাসি ওয়াইনও। হায়দরাবাদের ‘টনিক’-এর আদলে এই সুরা-মলে হুইস্কি, ভদকা, রাম, বিয়ারের পাশাপাশি পাওয়া যাবে নানা ব্র্যান্ডের জিন, টেকিলা, অ্যাবসিন্থ, মিক্সার, টনিকও। ‘অফশপ’ এবং ‘অনশপ’ দুই সুবিধাযুক্ত ওই মল থেকে যেমন সুরা কিনে নিয়ে যাওয়া যাবে, তেমনই পছন্দের খাবারের সঙ্গে মদ্যপানেরও সুবিধা থাকবে। প্রস্তাবমতো মলের প্রতিটি তলেই থাকবে রেস্তরাঁ। সেই সব রেস্তরাঁতেও দেশবিদেশের খাবার পাওয়া যাবে। সুরারসিকরা যাতে সেখানে বসে মদ্যপান করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও রাখা হবে।
ওই প্রস্তাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক আবগারি কর্তা সোমবার বলেন, ‘‘এই মল ঘুরতে যাওয়ার জন্যও ভাল হবে। যাঁরা সুরাপান করেন তাঁরাও যেমন মদের ‘উইন্ডো শপিং’ করতে পারবেন, তেমনই সুরা সংক্রান্ত প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও থাকবে বলে প্রস্তাব এসেছে।’’ মলের প্রস্তাব নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গেলেও এখনই অনুমোদন মিলে গিয়েছে, তা অবশ্য বলা যাবে না। কারণ, আবগারি দফতর রাজ্যের আইন-কানুন খতিয়ে দেখে, কোন এলাকায় তা তৈরি হবে তা বিবেচনার পরেই চূড়ান্ত অনুমতি দেবে। তবে কারা এমন মল বানাতে চাইছেন, সে বিষয়ে এখনই কোনও তথ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করতে চাইছে না আবগারি দফতর।