প্রতীকী ছবি
উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন হয় ২১ জুন। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘সামার সলস্টিস’। আগামী রবিবার সেই দিনেই বলয়গ্রাস গ্রহণে ঢাকা পড়তে চলেছে সূর্য! তবে সেই বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকা থেকেই। দেশের বাকি অঞ্চল থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার (পিএসি)।
দীর্ঘতম দিনে সূর্যের গ্রহণ হতে পারে নেহাতই কাকতলীয়। কিন্তু তা-ও এমন সূর্যগ্রহণ কি চাক্ষুষ করতে পারবেন রাজ্যবাসী? কারণ বর্ষাকাল চলছে। মাঝেমধ্যেই আকাশ ঢাকা থাকছে মেঘে। তাই এই সময়ে গ্রহণ দেখা নিয়ে দোলাচল থাকছেই। পিএসি-র অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, ২১ জুন কলকাতায় গ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টো ১৭ মিনিটে। শিলিগুড়িতে গ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে, শেষ হবে দুপুর ২টো ১৬ মিনিটে।
চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে একই রেখায় অবস্থান করে, তখন চাঁদের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়ে যায়। তাকেই বলা হয় সূর্যগ্রহণ। অনেক সময়ে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। সে সময়ে সূর্যের বাইরের অংশ উজ্জ্বল বলয়ের মতো দেখায়। তাকে বলা হয় বলয়গ্রাস। সঞ্জীববাবু জানান, অ্যালুমিনাইজ্ড মাইলার ফিল্টার বা ১৪ নম্বর শেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়েই সরাসরি গ্রহণ দেখা উচিত। না-হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া, টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রতিবিম্ব তৈরি করেও গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
গ্রহণ দেখাতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন সংস্থাও। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে অনেকেই নেট মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন। বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম জানিয়েছে, ২১ জুন তারা টেলিস্কোপের প্রতিবিম্ব তৈরি করে সেটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে সম্প্রচার করবে। যদিও মেঘের আড়ালে গ্রহণ ঢাকা পড়বে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো করছে বর্ষার সক্রিয়তা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে বর্ষা। ওই অক্ষরেখার ফলে আগামী দু’দিন রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টি হতে পারে।