চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। —ফাইল চিত্র।
রোভার প্রজ্ঞান আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। এ বার চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকেও ঘুম পাড়িয়ে দিল ইসরো। ল্যান্ডারটিকে সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানো হয়েছে।
তবে এখনই ঘুমিয়ে পড়ছে না বিক্রম। তার ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনও। চাঁদেও এখনও বেশ কিছুটা সূর্যালোক রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি রাত নামলে, বিক্রমের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে সে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইসরো টুইট করে জানিয়েছে, বিক্রমকে ঘুম পাড়ানোর আগে পর্যন্ত চ্যাস্টে, রম্ভা এবং ইলসা পেলোডগুলি কাজ করেছে। চাঁদের মাটিতে তাদের অনুসন্ধান জারি ছিল। নতুন কয়েকটি অংশে এই পেলোডগুলির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ইসরো। সেখান থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পৃথিবীতে পৌঁছেও গিয়েছে। বিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে এই পেলোডগুলিকেও এ বার বন্ধ করা হয়েছে। যদিও ল্যান্ডারের তথ্য সংগ্রহকারী যন্ত্র (রিসিভার) চালু আছে।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ চাঁদে আবার সূর্য উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। তখন ল্যান্ডার, রোভারকে আবার জাগিয়ে তোলা যায় কি না, চেষ্টা করে দেখবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই আশাতেই শুরু হয়েছে দিন গোনা।
রবিবার চাঁদের মাটিতে শেষ বার চমকে দেওয়ার মতো কাজ করেছে বিক্রম। সেটি হল, চাঁদের মাটিতে ছেড়ে ৪০ সেন্টিমিটার লাফিয়ে উঠেছে। আরও ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরে গিয়ে পাখির পালকের মতো অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং) করেছে। এ ভাবে, চাঁদের মাটিতে বিক্রমের দ্বিতীয় বারের অবতরণ সফল হয়েছে। ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ বলেও দাবি করেছে ইসরো। ওই প্রক্রিয়ার পরেই ল্যান্ডারটিকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানো হয়েছে।