মঙ্গলের সেই রহস্যে মোড়া মেরুজ্যোতি। ছবি- 'হোপ'-এর সৌজন্যে।
‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে রহস্যে মোড়া এক ধরনের মেরুজ্যোতি দেখল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মহাকাশযান ‘হোপ’। যা আর আগে আর কোনও মহাকাশযানের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি।
‘হোপ’ মিশনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মেরুজ্যোতি দেখা যায় শুধুই মঙ্গলের রাতের দিকের অংশে। তবে লাল গ্রহের রাতের দিকের অংশে আরও এক ধরনের মেরুজ্যোতি দেখা যায়। সেটা হয় যখন খুব জোরালো সৌরঝড় (‘সোলার স্টর্ম’) এসে আছড়ে পড়ে মঙ্গলের উপর। সেই সময় মঙ্গলের রাতের দিকের গোটা আকাশ মেরুজ্যোতির চোখধাঁধানো আলোয় হয়ে ওঠে আলোকিত।
আরও পড়ুন
লকডাউনের নিয়ম শিথিল হওয়ায় আপনি কি উদ্বিগ্ন? এই মানসিক চাপ কী ভাবে সামলানো যায়
আরও পড়ুন
বর্তমান টিকা সারা জীবন নিরাপত্তা নাও দিতে পারে, আশঙ্কা চিকিৎসকদের
হোপ যে মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছে, সেটা রাতের দিকে আকাশ জুড়ে দৃশ্যমান মেরুজ্যোতির থেকে আলাদা ধরনের। এর নাম ‘ডিসক্রিট অরোরা’। বাংলায় বলা যায়, বিক্ষিপ্ত মেরুজ্যোতি। সেই মেরুজ্যোতি লাল গ্রহের রাতের দিকে আকাশের কিছু কিছু অংশে দেখা যায়। বাকি অংশে তা দেখা যায় না। এই মেরুজ্যোতি জোরালো সৌরঝড়ের জন্য হয় না। পৃথিবীতে এক ধরনেরই মেরুজ্যোতি দেখা যায়। আর তার কারণও একটাই। সৌরঝড়। সেই ঝড়ের সময় সৌরকণারা এসে কোনও গ্রহের চার দিকে থাকা অদৃশ্য চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর পড়লে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র তাকে ফিরিয়ে দিতে চায়। চুম্বকের দু’টি সমমেরু একে অন্যকে বিকর্ষণ করে বলে। তাতেই মেরুজ্যোতির জন্ম হয়। ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের হাত থেকে গ্রহগুলির রেহাই পাওয়ার সেটাই উপায়। গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র সেখানে বর্মের মতো কাজ করে।