সেই ‘তিয়াংগন-১’ স্পেস ল্যাব।- ফাইল চিত্র
কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাঁই সাঁই করে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ‘তিয়াংগন-১’। চিনের পাঠানো মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা স্পেস ল্যাব।
আজ, কাল বা পরশু রবিবারের মধ্যেই তা ভেঙে পড়বে পৃথিবীতে। যে কোনও জায়গায়। যে কোনও মুহূর্তে। ঠিক কোন জায়গায়, ঠিক কোন সময় তা ভেঙে পড়বে পৃথিবীতে, আছড়ে পড়বে পৃথিবীর কোথায়, কোন প্রান্তে, তা কিন্তু কেউই জানেন না।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা ‘এসা’) শুক্রবার এ খবর দিয়েছে।
তবে কখন, কোথায় তা ভেঙে পড়বে তা বলা যাচ্ছে না কারণ, কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে পৃথিবীর দিকে হু হু করে ছুটে আসা ওই চিনা স্পেস ল্যাবের সঙ্গে গ্রাউন্ড স্টেশনের সব যোগাযোগই ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ৪০ ফুট লম্বা ‘তিয়াংগন-১’ এখন আক্ষরিক অর্থেই, বেলাগাম। বিশৃঙ্খলও!
‘এসা’ জানাচ্ছে, ‘তিয়াংগন-১’-এর শেষ যে গতিবেগ মাপা সম্ভব হয়েছিল, এখনও যদি তা-ই থাকে, তা হলে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ওই চিনা স্পেস ল্যাব আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাটিতে বা সমুদ্রের জলে পড়ার আগেই তা বায়ুমণ্ডলের সংঘর্ষে ভষ্মীভূত হয়ে যাবে।
তবে চিনের ম্যান্ড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অফিস জানাচ্ছে, ওই স্পেস ল্যাব ভেঙে পড়তে পারে ১ বা ২ এপ্রিল। এর আগে ভাবা হয়েছিল তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ৪ তারিখের মধ্যে।
আরও পড়ুন- আরও ব্রহ্মাণ্ড আছে কি? মৃত্যুশয্যার গবেষণাপত্রে প্রশ্ন তুলে গেলেন হকিং
আরও পড়ুন- বাঙালির হাত ধরে সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে জোরালো ওষুধ?
ওই চিনা স্পেস ল্যাবের আরেকটি নাম- ‘হেভেনলি প্যালেস’। চিন যে নিজেদের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে ২০২২ সালের মধ্যে, তার ‘প্রোটোটাইপ’ হিসাবে এই স্পেস ল্যাবটি উৎক্ষেপণ করেছিল ২০১১-য়। তবে ২০১৬-র মার্চ থেকেই ওই স্পেস ল্যাবের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে চিনের তরফে গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জে জানানো হয়েছিল।
এর আগে ১৯৭৯ সালে নাসার স্পেস স্টেশন ‘স্কাইল্যাব’ ভেঙে পড়েছিল। আর ২০০১ সালে ভেঙে পড়েছিল রাশিয়ার ১৩৫ টন ওজনের ‘মির স্টেশন’।