এই সেই ই-বাইক।
টুক করে আপনার স্মার্টফোন থেকে শুধু একটা টেক্সট পাঠিয়ে দিন। বলে দিন, ঠিক কোথায় যেতে হবে। আরোহী নিজে যদি নাও চালাতে পারেন, বাইক পৌঁছে যাবে তাঁর কাঙ্খিত গন্তব্যে!
কিন্তু, কে বলতে পারেন, তার চলার পথে হঠাৎ করে বাস, লরি এসে পড়বে না হুড়মুড়িয়ে? তা হলে তো দুর্ঘটনা অনিবার্য!
না, তাতেও দুশ্চিন্তা নেই। আপনার সেই যানে এমনই স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশান ব্যবস্থা রয়েছে যে হঠাৎ করে আপনার সামনে কোনও বাস, লরি এসে পড়ার কয়েক সেকেন্ড আগেই আপনার যানটির মুখ অন্য দিকে ঘুরে যাবে বা তা আরও তরতরিয়ে এগিয়ে যাবে!
আরও পড়ুন- এই অবস্থা থেকেও ফিরিয়ে আনতে পারবে বিজ্ঞান!
না, কোনও ভূতের গল্প নয়। এমনই একটি বাইক বানিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র একদল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। শারীরি্ক প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখেই ওই বিশেষ প্রযুক্তির ই-বাইকটি বানানো হয়েছে। যাতে যাঁর হাত বা পা কাটা, তিনিও যেমন স্বচ্ছন্দে সেটি চালাতে পারবেন, তেমনই যিনি দেখতে পান না, তাঁরও ওই বাইকটি চালাতে কোনও অসুবিধাই হবে না। বাইকটিতে যেমন রয়েছে অটোম্যাটিক লোকোমোশন আর অটোম্যাটিক স্টিয়ারিং-এর ব্যবস্থা, তেমনই চাইলে, কেউ বাইকটি নিজেও চালাতে পারবেন।
ই-বাইকের কারিগর! খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্ররা।
এই দু’রকম বা হাইব্রিড ব্যবস্থার জন্যই নতুন এই ই-বাইকটি খুব শিগগিরই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা। এখনও পর্যন্ত শুধুই বাইকটির প্রোটোটাইপ বানানো হয়েছে। বাইকটি আর দু’-তিন বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিক ভাবে বানানো যাবে বলে তাঁদের আশা। তাঁদের হিসেব বলছে, একেকটা বাইকের দাম পড়বে বড়জোর ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।