Milky Way Galaxy

মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে কোথায় হদিশ মিলতে পারে ভিনগ্রহীদের, পথ দেখালেন বিজ্ঞানীরা

আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এএএস বা অ্যাস)-র গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এ খবর দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২১ ১৮:১৩
Share:

মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রস্থল। -ফাইল ছবি।

না, খুব দূরে নয়। ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা মিল্কি ওয়ে (আকাশগঙ্গা) ছায়াপথেই রয়েছে ভিনগ্রহীরা। ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের আশপাশেই ভিনগ্রহীদের এমন বহু সভ্যতা থাকতে পারে। যে সভ্যতাগুলি প্রযুক্তির দিক দিয়ে মানবসভ্যতার চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে। আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এএএস বা অ্যাস)-র গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এ খবর দিয়েছে। মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলির সম্ভাব্য ঠিকানা খুঁজে বার করতে বিভিন্ন টেলিস্কোপ, উপগ্রহ ও মহাকাশযানের পাঠানো তথ্যাদির ভিত্তিতে কম্পিউটারে সিম্যুলেশন করেছিলেন আমেরিকার পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একস্ট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স সেন্টারের অধিকর্তা জেসন টি রাইট ও তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানী, গবেষকরা।

Advertisement

গবেষকরা জানিয়েছেন ভিনগ্রহীদের সেই সভ্যতাগুলির হয়তো উৎপত্তি হয়েছিল মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের জন্মের ১০০ বা দেড়শো কোটি বছরের মধ্যেই। প্রসঙ্গত, আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের বয়স প্রায় ১৩৫০ কোটি বছর। তার মানে, বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হওয়ার ২০০ কোটি বছরের মধ্যেই ভিনগ্রহীদের সেই সভ্যতাগুলির উৎপত্তি হয়েছিল। কালের নিয়মে সেই সভ্যতাগুলির কিছু কিছু বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে এত দিনে। ব্রহ্মাণ্ড ফুলে ফেঁপে উঠছে প্রায় প্রতি মুহূর্তেই, বেলুনের মতো। বেলুন ফুললে যেমন তার উপরে থাকা দু'টি বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব বাড়ে ক্রমশ, তেমনই ব্রহ্মাণ্ড ফুলে ফেঁপে ওঠার ফলে ছায়াপথগুলিও একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সেই সব ছায়াপথের ভিতরে থাকা নক্ষত্রমণ্ডলগুলিও স্থান বদলাচ্ছে, একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে, ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলিরও অবস্থান বদলে যাচ্ছে দ্রুত।

আরও পড়ুন

Advertisement

রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম

আরও পড়ুন

মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার

তবে গবেষণাপত্রটি জানিয়েছে, মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের আশপাশেই হয়তো রয়েছে ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলি। পৃথিবী থেকে মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের কাছেপিঠে থাকা মহারাক্ষস সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরটি রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। তার চেয়ে অনেক কম দূরত্বে থাকতে পারে ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলি।

গবেষকরা এমন তথ্যাদি পেয়েছেন কম্পিউটারে সিম্যুলেশন করে যা খতিয়ে দেখে তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিনগ্রহীদের সেই সভ্যতার হাতে রয়েছে এতটাই উন্নত প্রোপালসন প্রযুক্তি যা তাদের ছায়াপথের এক দিক থেকে অন্য দিকে খুব দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, প্রয়োজনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement