গ্রহাণু ‘২০০১এফও৩২’। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
এ বছরের সবচেয়ে বড় গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়েছে। ছুটে আসছে ঘণ্টায় ৭৭ হাজার মাইল (বা ১ লক্ষ ২৪ হাজার কিলোমিটার) গতিবেগে। রবিবার গ্রহাণুটি চলে আসবে পৃথিবীর ১৮ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে। যা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ৫ গুণ।
গ্রহাণুটির নাম- ‘২০০১এফও৩২’। এর ব্যাস ৪৪০ থেকে ৬০০ মিটার (বা ১ হাজার ৩০০ ফুট থেকে ২ হাজার ২৩০ ফুট)-এর মধ্যে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০০১ সালে। বিজ্ঞানীরা আগেই এই গ্রহাণুর গতিপথ স্পষ্ট করে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।
নাসা জানাচ্ছে, এ বছর এত বড় আকারের আর কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর এতটা কাছে আসবে না। তবে এই গ্রহাণুটি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কারণ নেই। এটি রবিবার পৃথিবী থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। তবে আবিষ্কারের পর পৃথিবীর এত কাছাকাছি চলে আসায় মহাকাশ গবেষণার অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, গ্রহাণুগুলির উৎপত্তি হয়েছিল সৌরমণ্ডলের জন্মের সময়ই। ফলে এদের দেখা ও বোঝার সুযোগ সৌরমণ্ডলের জন্মের ইতিহাস বুঝতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে।
সম্প্রতি আইফেল টাওয়ারের মতো উঁচু সুবিশাল একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে চলে এসেছিল। যা ফের পৃথিবীর কাছে আসবে ৮ বছর পর। ২০২৯-এ। এই গ্রহাণুটিকে নিয়ে উদ্বেগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ ৮ বছর পর এটি এতটাই কাছে চলে আসবে পৃথিবীর যে, তা সভ্যতার পক্ষে হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই গ্রহাণুটির নাম ‘অ্যাপোফিস’।
তবে ‘অ্যাপোফিস’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও নাসা জানিয়েছে, নয়া গ্রহাণু ‘২০০১এফও৩২’-র যাত্রাপথ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর উপর সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না।