প্রতীকী ছবি।
যাঁরা আগাগোড়াই জিভে তেতো স্বাদ অনুভব করেন বেশি, কোভিডে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এমনটাই দাবি করল। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা জার্নাল ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপন’-এ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কোভিড কেন কারও ক্ষেত্রে মৃদু বা মাঝারি হয় আর অন্য কারও ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে গুরুতর, এই গবেষণা আগামী দিনে তার উত্তর দিতে পারে।
গবেষকরা দেখেছেন, যাঁরা তাঁদের জিভে সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে তেতো স্বাদ বেশি অনুভব করেন (বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাঁদের বলা হয় ‘সুপারটেস্টার’), তাঁদের দেহে এক ধরনের জিন বেশি সক্রিয় থাকে। সেই জিনের নাম- ‘টি২আর৩৮’। কেউ যদি জন্মের সময় মা ও বাবা, দু’জনের কাছ থেকেই জিনটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকেন তা হলে তাঁদের ‘সুপারটেস্টার’ বলে চিহ্নিত করা হয়।
গবেষণা জানিয়েছে, এই জিনটি যে শুধুই তেতো স্বাদের অনুভূতি বাড়ায় তা নয়, মানবদেহে সার্স-কভ-২-সহ বহু ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়, দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলে।
এই জিনটি যাঁরা মা ও বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পান, তাঁদের বেশির ভাগেরই সাইনাস ও নাসারন্ধ্রে খুব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র চুলের পরিমাণ বেশি থাকে। এদের বলা হয় সিলিয়া। এরাই সার্স-কভ-২ সহ বিভিন্ন ভাইরাসের হানাদারি রোখার প্রাথমিক কাজটা করে।
গবেষকরা দেখেছেন, এই জিনটিকে আরও সক্রিয়, শক্তিশালী করে তোলা হলে তা দেহে বেশি পরিমাণে মিউকাস ও নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে মদত দেয়। সেগুলিই ভাইরাসগুলিকে নির্মূল করে।
এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ব্যাক্টেরিয়ার হানাদারি রুখতে দেহে বাড়তি পরিমাণে তৈরি হওয়া মিউকাস ও নাইট্রিক অক্সাইড সহায়ক হয়। এই প্রথম জানা গেল তা সার্স-কভ-২-সহ বিভিন্ন ভাইরাসকে নির্মূল করতেও সমান কার্যকর হয়।