সুনীতা ইউলিয়ামস
আট বছর বাদে আমেরিকা ফের নিজ দেশের যানে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। যাবেন মোট ন’জন। প্রত্যেকেই মার্কিন নাগরিক। মহাকাশে ৩২১ ঘণ্টা কাটানো, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা ইউলিয়ামস যাঁদের অন্যতম।
নাসার নিজস্ব ফেরি যান শেষ বার যাত্রা করেছিল ২০১১ সালে। এর পর থেকে গত সাত বছরে প্রতি বারই রুশ মহাকাশযান সোয়ুজ়ে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে পাড়ি দিয়েছেন মার্কিন নভশ্চররা। নাসা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আট বছর পর, আমরা শুধু মার্কিন মহাকাশচারীদের নিয়ে আমেরিকার মাটি থেকে আমেরিকার নিজস্ব মহাকাশযান পাঠাতে চলেছি।’’ তবে এ বার আর নিজেদের তৈরি নয়, বাণিজ্যিক সংস্থা বোয়িং ও স্পেসএক্সের তৈরি দু’টি যান পাঠাবে নাসা। মহাকাশযান দু’টির নাম ‘বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার’ এবং ‘স্পেসএক্স ড্রাগনক্যাপসুলস।’ ২০১৯ সালের গোড়ায় যাত্রা করবে এই দু’টি যান।
নাসা জানিয়েছে, তাদের আট মহাকাশচারী ও এক অবসরপ্রাপ্ত মাহাকাশচারী থাকছেন যান দু’টিতে। ৫২ বছরের সুনীতা থাকছেন ‘বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার’-এ। অ্যাটলাস ৫ রকেটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে পাঠানো হবে এটিকে। সুনীতার সঙ্গে থাকছেন জোস ক্যাসাডা। মহাকাশযাত্রায় জোস আনকোরা হলেও দু’দফায় ৩২১ দিন মহাকাশে থেকেছেন সুনীতা। প্রাক্তন মহাকাশচারী এবং বর্তমানে বোয়িংয়ের শীর্ষকর্তা ক্রিস্টোফার ফার্গুসনও থাকছেন তাঁদের সঙ্গে। স্টারলাইনার তৈরির প্রথম থেকেই জড়িয়ে রয়েছেন ক্রিস্টোফার।
‘স্পেসএক্স ড্রাগনক্যাপসুলস’-এ থাকছেন রবার্ট বেনকেন ও ডগলাস হার্লে। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পাঠানো হবে এটিকে। ২০১১ সালের জুলাইয়ে শেষ বার এখান থেকেই পাঠানো হয়েছিল নাসার মহাকাশ ফেরি যান। ন’জন মহাকাশচারীর জন্য নতুন স্পেসস্যুট বানানোর পাশাপাশি লঞ্চপ্যাডগুলির আধুনিকীকরণও করছে ওই বাণিজ্যিক সংস্থা দু’টি।