চন্দ্রযান নামার সাক্ষী থাকবে ইউসরা 

গত ৩০ অগস্ট ওই ছাত্রীকে ই-মেলে ‘ইসরো’-র সদর দফতরের অন্যতম অধিকর্তা সুরেশ এম আর জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দফতরে বসে ওই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ইউসরাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

ইউসরা আলম। নিজস্ব চিত্র

মহাকাশের নিয়ে জানার অফুরন্ত ইচ্ছে। সময় পেলেই ইন্টারনেটে নানা অভিযান, মহাকাশের নানা রহস্যের খুঁটিনাটির পড়ত গলসির বেলগ্রামের একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইউসরা আলম। ৭ সেপ্টেম্বর ইসরো-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে বসে চন্দ্রযান-২ এর চাঁদ ছোঁয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিল এই ইচ্ছেই।

Advertisement

গত ৩০ অগস্ট ওই ছাত্রীকে ই-মেলে ‘ইসরো’-র সদর দফতরের অন্যতম অধিকর্তা সুরেশ এম আর জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দফতরে বসে ওই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ইউসরাকে। এক জন অভিভাবককে নিয়ে শুক্রবার বেলা ২টোর মধ্যে সেখানে পৌঁছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে তাকে। যাতায়াত, থাকা-খাওয়া খরচ ‘ইসরো’ বহন করবে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য থেকে দু’জনকে বেঙ্গালুরুতে ডেকেছে ইসরো। তার মধ্যে একজন বর্ধমান শহরের পীরবাহারাম এলাকার বাসিন্দা ইউসরা। সুযোগ এল কী ভাবে?

ওই ছাত্রীর দাবি, গোটা দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে চন্দ্রযান নিয়ে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে একটি প্রশ্নোত্তর পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল ‘ইসরো’। শিক্ষা দফতরকেও বিষয়টি জানায় তারা। শিক্ষা দফতরই বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষার কথা প্রচার করে। ওই ছাত্রীও স্কুল থেকেই জানতে পারে বিষয়টি। ওই পরীক্ষায় ২০টি প্রশ্ন ছিল। ১০ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে উত্তর দিতে হয়। নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা দেয় ইউসরা। ওই কিশোরী বলে, “ই-মেল পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছি। ভাবতেই পারছি না, আমি প্রধানমন্ত্রীর পাসে বসে ইসরো সেন্টার থেকে চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে নামছে, এই দৃশ্য দেখব। পুরোটাই স্বপ্নের মতো।’’

Advertisement

ইউসরার দুই দিদি, এক ভাই। বড় দিদি শাবা আলম ডাক্তারির ছাত্রী। আর এক দিদি একাদশ শ্রেণিতে ওই স্কুলেই পড়ে। তারা জানায়, ইউসরার মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে। এই সুযোগে আগ্রহ আরও বাড়বে। বাবা হাসিব আলমের সাবান তৈরির ব্যবসা রয়েছে। তিনি বলেন, “ প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে মেয়ে চন্দ্রযান নামার দৃশ্য দেখবে, ভাবতেই পারছি না। বাবা হিসেবে খুবই গর্বিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement