-ফাইল ছবি।
আবার ‘সুপারমুন’। এ বার সেই চাঁদের নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’। দেখা যাবে বৃহস্পতিবার রাতের আকাশে। আগামী তিন দিন রাতের আকাশে তা দেখা যাওয়ার কথা। একই আকারে। যদি না মুখ ভার থাকে আকাশের, যদি না ঢাকা থাকে মেঘে। জানিয়েছে নাসা। এও জানিয়েছে, ভারতে বৃহস্পতিবার আকাশে চাঁদ সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হবে রাত ১২টা ১০ মিনিটে। সল্টলেকের পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার জানিয়েছে, মেঘ না থাকলে কলকাতার আকাশে চাঁদ উঠবে সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে। চাঁদ অস্ত যাবে শুক্রবার ভোর ৪টা ৫৬ মিনিটে।
মে মাসেও দেখা গিয়েছিল একটি ‘সুপারমুন’। তার নাম ছিল ‘ব্লাড মুন’। সঙ্গে উপরি হিসাবে ছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তবে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় দেশের বহু এলাকা থেকেই তা দেখা যায়নি। ২৭ দিন ধরে প্রদক্ষিণের পথে চাঁদ পৃথিবীর কাছে এসে পড়লে তার আকার প্রতি দিনের দেখা চাঁদের চেয়ে কিছুটা বড় হয়। তাই তা সুপারমুন। প্রতি বছরই এমন তিন থেকে চারটি সুপারমুন দেখা যায়। আর সেগুলি পরপরই আসে আকাশে। এ বছর এটাই শেষ সুপারমুন। এর আগেরগুলি দেখা গিয়েছিল গত ২৮ মার্চ, ২৭ এপ্রিল এবং ২৬ মে-তে। সল্টলেকের পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার অবশ্য জানিয়েছে, গত ২১ জুন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল চাঁদ। তবে সেই দূরত্বে তা সাধারণত তিন দিন থাকে।
স্ট্রবেরি মুন-এর রাতে আকাশে চাঁদের রং স্ট্রবেরির মতো হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। উত্তর গোলার্ধে (ভারতও পড়ে) বসন্তকালের শেষ পূর্ণিমাকেই ডাকা হয় এই নামে। এটাই গ্রীষ্মের প্রথম পূর্ণিমা। এই সময় পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে ওঠে কিছুটা নীচের দিকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতিসারিত আলোয় চাঁদের রং কিছুটা গোলাপি হয়ে ওঠে। তাই তার নাম স্ট্রবেরি মুন।
তবে মে মাসে যে ব্লাড মুন হয়েছিল, তার বিজ্ঞানভিত্তিক কারণ রয়েছে। সেই সময় যে ছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও। যে কোনও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণেই চাঁদের উপর পড়া সূর্যের সামান্য আলো আর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতিসারিত আলোর মিশ্র কারিকুরিতে চাঁদকে কিছুটা লালচে দেখায়। তাই তখন চাঁদ হয়ে ওঠে ব্লাড মুন। সেই রঙে চাঁদ এক ঘণ্টার বেশি থাকতেও পারে না।