‘সি অ্যানিমোন’ ও ‘ফিল্টার ফিডার’। ছবি সৌজন্যে- এডব্লিউআই।
অ্যান্টার্কটিকায় ৫০ বছর ধরে বরফে চাপা পড়ে থাকা বেশ কয়েকটি সামুদ্রিক প্রাণীর হদিশ মিলল। নিউ ইয়র্ক শহরটা যত বড়, তার দ্বিগুণ আকারের একটা সুবিশাল হিমশৈল ভেঙে গিয়ে সংলগ্ন ওয়েডেল সাগরে মেশার ফলে। এই সব প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর কথা বিজ্ঞানীদের আগে জানা ছিল না।
উত্তর অ্যান্টার্কটিকায় পুরু বরফের আস্তরণ থেকে ফাটল ধরে আলাদা হয়ে যাওয়া হিমশৈলটির নাম- ‘এ-৭৪’। অ্যান্টার্কটিকায় জার্মানির গবেষণা জাহাজ ‘পোলারস্টার্ন’ দেখেছে ওই সব প্রজাতির জলজ প্রাণী রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ মাইল (বা ৩০ কিলোমিটার) নীচে। গবেষকরা সমুদ্রের অতটা গভীর থেকে যে সব প্রজাতির জলজ প্রাণীর হদিশ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে ‘মোলাস্ক’, ফিল্টার ফিডার’, ‘সি স্টার’, ‘সি কিউকামবার’ এবং অন্তত ৫টি নতুন প্রজাতির মাছ। পেয়েছেন ২টি নতুন প্রজাতির স্কুইডও।
জার্মানির ‘পোলারস্টার্ন’ মিশনের দায়িত্বে রয়েছে যে সংস্থা সেই আলফ্রেড ভেগেনার ইনস্টিটিউট ফর পোলার অ্যান্ড মেরিন রিসার্চ (এডব্লিউআই) একটি বিবৃতিতে এই খবর দিয়ে জানিয়েছে অ্যান্টার্কটিকায় সংলগ্ন সমুদ্রের এতটা গভীরতা পর্যন্ত এর আগে দেখা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের পক্ষে।
গবেষকদের অবাক হয়ে যাওয়ার কারণ, এমন বেশ কয়েকটি প্রজাতির জলজ প্রাণীর হদিশ মিলেছে সূর্যালোক ছাড়া যাদের বিপাকক্রিয়া হতেই পারে না। তাই তাঁদের কৌতূহল, টানা ৫০ বছর ধরে ওই সুবিশাল হিমশৈলে চাপা পড়ে অ্যাটার্কটিকা সংলগ্ন ওয়েডেল সাগরের ৩০ কিলোমিটার নীচে ওই প্রজাতির প্রাণীগুলি বেঁচে রয়েছে কী ভাবে।