ভাইরাস যখন পিংপং

১৯৬৫ সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছ’বছরের এক শিশুর মৃত্যু ঘটে। আবার এই ভাইরাসই একই সময় বোনোবো আর শিম্পাঞ্জিদেরও আক্রমণ করে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ২৩:৫১
Share:

খোঁজ মিলেছে এক বহুরূপী ভাইরাসের। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল-এর জেমস শোডোশ ও মানাসাস-এর জর্জ ম্যাসন ইউনির্ভাসিটি-র ডোনাল্ড সেটো দেখিয়েছেন, এই বিচিত্র ভাইরাস অনায়াসে তিনটি প্রজাতির মধ্যে চলাচল করতে পারে— আফ্রিকান এপ বা বোনোবো, শিম্পাঞ্জি এবং মানুষ। ১৯৬৫ সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছ’বছরের এক শিশুর মৃত্যু ঘটে। আবার এই ভাইরাসই একই সময় বোনোবো আর শিম্পাঞ্জিদেরও আক্রমণ করে। বস্তুত, আর কোনও ভাইরাস এই ভাবে এক প্রজাতি থেকে আর এক প্রজাতির মধ্যে এত দ্রুত লাফিয়ে যেতে পারে না। আগে এই ভাইরাস মানুষ, শিম্পাঞ্জি আর বোনোবোদের শরীরেই বাসা বেঁধে থাকত। এর সঙ্গে খুব মিল সদ্য-আবিষ্কৃত এক অ্যাডিনোভাইরাসের (সর্দি-কাশি যার অবদান)। এমন দুই প্রজাতির মধ্যে এই অ্যাডিনোভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যারা কখনও পরস্পরের সংস্পর্শে আসেনি— সান ডিয়াগো চিড়িয়াখানার বোনোবো আর লুইজ়িয়ানার এক গবেষণাকেন্দ্রের শিম্পাঞ্জি। গবেষণা বলছে, অন্য প্রাণী থেকে মানবদেহে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভবত এক ধরনের জীবাণুর আবির্ভাবে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। এই জীবাণু মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement