Supermassive Black Hole

এক গ্রাসে গিলে নিতে পারে তিন হাজার কোটি সূর্যকে! ‘রাক্ষুসে’ কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণগহ্বরটিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র মাসিক গবেষণাপত্রে এই আবিষ্কারের কথা উঠে এসেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৫
Share:

সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণগহ্বরটিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত।

খোঁজ পাওয়া গেল ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে ‘বড়’ ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের। যা দু’-দশ লক্ষ নয়, গ্রাস করতে পারে প্রায় তিন হাজার কোটি সূর্যকে। এমনই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই কৃষ্ণগহ্বরের ভর সূর্যের ভরের তিন হাজার কোটি গুণ বেশি। অর্থাৎ, সহজ কথায় এই কৃষ্ণগহ্বরে এঁটে যেতে পারে প্রায় তিন হাজার কোটি সূর্য। যদিও এই কৃষ্ণগহ্বর আমাদের নক্ষত্রমণ্ডল থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণগহ্বরটিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র মাসিক গবেষণাপত্রে এই আবিষ্কারের কথা উঠে এসেছে। বিশেষ শক্তিশালী লেন্স ব্যবহার করে প্রায় দুই দশক ধরে গবেষণা চালিয়ে এই কৃষ্ণগহ্বরটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ২০০৪ সালে ডারহাম ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী, অ্যালিস্টার এজ় প্রথম এই কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। তার পর থেকে কৃষ্ণগহ্বরটিকে নিয়ে লাগাতার গবেষণা চলছিল।

বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে বড় আকারের টেলিস্কোপ দিয়ে আরও দূরের কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে খোঁজখবর চালানো সম্ভব হবে।

Advertisement

একটি নক্ষত্রের মৃত্যুতে কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম হয়। কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে তার মধ্যে থেকে আলোও বেরোতে পারে না। গিলে নেয় ছোট-বড় অনেক গ্রহ-নক্ষত্রকে। এর মধ্যে দিয়ে আলো পেরোতে পারে না বলে কৃষ্ণগহ্বরকে দেখতে পাওয়া যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement