প্রতীকী ছবি।
কশেরুকা কেটে ফেলতে হবে না। বড় আকারের কোনও যন্ত্র প্রতিস্থাপনও করতে হবে না। বড় সূচও লাগবে না। রোগী বুঝতেই পারবেন না, এমন উপায়ে এ বার স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্নাকাণ্ডের তীব্র যন্ত্রণা দূর করা করা সম্ভব হবে। সুষুম্না প্রতিস্থাপনের এই বিকল্প পথের হদিশ দিলেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রযুক্তিবিদরা। তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ।
কোনও ওষুধেই কমানো যায় না সুষুম্নাকাণ্ডের তীব্র যন্ত্রণা। এটা শুরু হলে মেরুদণ্ডের ভিতরের উপর থেকে নীচের অংশটুকু পর্যন্ত তীব্র যন্ত্রণার ‘স্রোত’ সব সময়ে বয়ে চলে।
এ ক্ষেত্রে সুষুম্নাকাণ্ডের প্রতিস্থাপন ছাড়া এখন আর কোনও পথ খোলা নেই চিকিৎসকদের সামনে। এই পদ্ধতির নাম ‘স্পাইনাল কর্ড স্টিম্যুলেটর’। শরীরের ভিতরে স্নায়ুকোষগুলিকে ঢেকে রাখে যে সূক্ষ্ণ তন্তুর আবরণ, চালু স্পাইনাল কর্ড স্টিম্যুলেটর পদ্ধতিতে তার উপরে শক্ত করে চেপে ধরা হয় দু’টি ইলেকট্রোড। তার ফলে, বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরে গিয়ে যন্ত্রণার অনুভূতিকে আর মস্তিষ্কে পৌঁছতে দেয় না। কয়েক মিলিমিটার চওড়া সেই ইলেকট্রোড দু’টির মানবশরীরে অনুপ্রবেশ ঘটানোর জন্য মেরুদণ্ডের উপরে থাকা কশেরুকার একটি অংশ কেটে ফেলতে হয় চিকিৎসকদের। অস্ত্রোপচারের সময়। কাজটা মোটেও সহজ নয়।
মেরুদণ্ড প্রতিস্থাপনের সেই অভিনব যন্ত্র। ছবি সৌজন্যে- কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন
করোনার প্রতিষেধক কি প্রভাব ফেলছে ঋতুচক্রের উপরে? তবে কি টিকা নেবেন না
আরও পড়ুন
নিভৃতবাসে কাটছে দিন? নিজেকে যত্নে রাখবেন কোন উপায়ে
আর একটি পদ্ধতি রয়েছে। তাতে ইলেকট্রোডগুলিকে আরও ছোট আকারে নেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলির শরীরে অনুপ্রবেশ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশাল মোটা সূচ। যদিও এই পদ্ধতির কার্যকারিতা কম বলেই দেখা গিয়েছে।
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চালু পদ্ধতিগুলির অসুবিধার কোনওটিই নেই, জানিয়েছেন গবেষকরা। কশেরুকা কেটে ইলেকট্রোডের অনুপ্রবেশ ঘটাতে হবে না মানবদেহে। কোনও সূচেরও প্রয়োজন পড়বে না। ব্যবহার করা হবে জল আর অন্য একটি তরল পদার্থ। তাদের চাপেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে অনায়াসেই।